নিজস্ব প্রতিনিধি, ধানবাদ, আপনজন: শনিবার গভীর রাতে ধানবাদে কয়লা পাচারকারীদের সঙ্গে সিআইএসএফের তুমুল সংঘর্ষ হয়। সিআইএসএফ এর ছোড়া গুলিতে মোট চারজন কয়লা পাচারকারীর মৃত্যু হয়। আহত হন আরো দুজন। যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ,শনিবার গভীর রাতে বেনিদি কেসিসি এলাকায় বিসিসিএল ব্লকে কয়লা পাচারকারীরা যখন কয়লা পাচার করছিলেন সেই সময় স্থানীয় ভাগমারা থানা এলাকায় সিআইএসএফ জওয়ানরা টহল দিচ্ছিলেন। কয়লা পাচারকারীরা সিআইএসএফের মুখোমুখি হতে শুরু হয় সংঘর্ষ। অভিযোগ কয়লা পাচারকারীরা সিআইএসএফ জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। তখন সিআইএসএফ জওয়ানরা পাল্টা গুলি ছোড়ে। সেই গুলিতে মোট ৬ জন কয়লা পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে ৪ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাঁচি হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে সিআইএসএফ মোট ১২ টি মোটরসাইকেল আটক করেছে। সিআইএসএফ ও স্থানীয় পুলিশের দাবি, কয়লা পাচারকারীরা মোট ১২ টি মোটরসাইকেল নিয়ে ওই এলাকা দিয়ে কয়লা পাচার করছিলেন । সেই সময় সিআইএসএফ জওয়ানরা টহল দিতে সেখানে চলে এলে উভয়পক্ষ মুখোমুখি হতেই বাঁধে সংঘর্ষ। কয়লা পাচারকারীরা সিএসএফের গাড়িতেও আক্রমণ চালায়। পাথর ছুড়ে সিএসএফের গাড়ি ভাঙচুর করে ।এই সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় বাগমারা থানার পুলিশ। সিআইএসএফের গুলিতে যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে, তারা হলেন- শাহজাদা আনসারী, আলতাফ আনসারী, সুরাজ চৌহান, প্রীতম চৌহান ।এদিকে এই খবর সংগ্রহ করতে গেলে সিআইএসএফ স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বাধা দেয়। শুধু তাই নয় তারা ঘটনাস্থলে রক্তের দাগ মুছতে গেলে সেই ছবি যখন সংবাদ মাধ্যম ক্যামেরাবন্দী করছিল তাদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ । রবিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে গেলে গ্রামবাসীরা তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। এই ভাবে গুলি করে সিএসএফের খুনের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা এর বিচার চান। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে মৃত পরিবার গুলির ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে। মৃতদেহগুলি ময়নাতনদের জন্য পাঠানো হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct