মনিরুজ্জামান, কলকাতা, আপনজন: পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি ব্লকের তুন্তুরী সুইসা অঞ্চলের সরকারি গাগী খাস বাঁধের লিজ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন লিজ মালিক। শনিবার, জানা যায়,তৃণমুল কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান রমণী মাছুয়ার, বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান কিরণ কালিন্দী,পঞ্চায়েত সচিব তন্ময় চন্দ্র এর নামে কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী হেয়ারিং হয় বাঘমুন্ডি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর নিকট শনিবার ১১:৩০ মিনিটে।গত ৭ ই নভেম্বর তুন্তুরী সুইসা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সাধারণের উদ্দেশ্য যা আগামী ১৬ ই নভেম্বর হারুপ বাঁধ ও গাগি খাস বাঁধ নতুন ভাবে নিলাম হবে। এই অবস্থায় গাগী খাস বাঁধ লিজ মালিক মহাবীর কুইরী পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে চান, সেই বাঁধের পুনরায় কি করে লিজ হয়। যেখানে আমার লিজ নেওয়া রয়েছে এবং সমস্ত কাগজপত্র সঠিক রয়েছে। এই মর্মে পঞ্চায়েত অফিস জানায় যে, তার কাছে যে সমস্ত কাগজ পত্র রয়েছে তা অবৈধ।
বাধ্য হয়ে মহাবীর কুইরী মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হোন এবং রাইট পিটিসন দাখিল করেন। মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টে যাবতীয় বিষয় তদন্ত করার জন্য আদেশ দিয়েছেন বাঘমুন্ডি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকে। শনিবার হেয়ারিংয়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রাক্তন প্রধান রমণী মাছুয়ার এর ছেলে পবন মাছুয়া বলেন, লিজ দেওয়া কাগজে যে সই রয়েছে তা সঠিক কি না ? এছাড়া রমণী মাছুয়ার বাঘমুন্ডি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর কাছে লিখিত আকারে জানান যে উল্লিখিত বিষয়ের স্বাক্ষর তার নিজস্ব। যেহেতু বিষয়টি মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারাধীন বিষয়, তাই এই বিষয়ে আইনগত ভাবে যখন যা জানতে চাওয়া হবে তা সহযোগিতা করা হবে।তিনি আরও বলেন, যদি লিজ সংক্রান্ত বা সই/স্বাক্ষর সংক্রান্ত বিষয়টি অবৈধ তাহলে কার্যকাল শেষ হওয়ার পরেও বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান ও আধিকারিক কিভাবে সেই বাঁধের লীজ বাবদ টাকা জমা নিয়েছেন। অন্য দিকে,বর্তমান গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কিরণ কালিন্দী এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। গ্রাম পঞ্চায়েত সচিব তন্ময় চন্দ্রকে ফোন করলে তিনি বলেন আমি এখন দিতে পারব না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct