সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: বাসস্ট্যান্ড হকার মুক্ত করতে গিয়েও সাময়িক পিছু হঠতে হল পুরসভাকে। আজ হকার উচ্ছেদে নেমে প্রথমেই এক ফল ব্যবসায়ীর জেদের মুখে পড়েন পুর কর্মীরা। ওই ব্যবসায়ীর কান্নাকাটি, অনুনয় বিনয়েও পুর কর্মীদের মন গলেনি। ব্যবসায়ী দোকানে থাকা অবস্থাতেই জেসিবি দিয়ে দোকান ভাঙার চেষ্টা হয়। ওই ব্যবসায়ী দোকান থেকে না সরে আসায় শেষ পর্যন্ত ওই ব্যবসায়ীকে সময় দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান সাময়িক ভাবে স্থগিত রাখতে বাধ্য হয় পুরসভা। ঘটনা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর বাসস্ট্যান্ডের। মাস খানেক আগে থেকেই বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর বাসস্ট্যান্ডে হকার উচ্ছেদ শুরু করে স্থানীয় বিষ্ণুপুর পুরসভা। একাধিক বেআইনী দখলদার হকারকে উচ্ছেদ করা হয়। আজ ফের জেসিবি নিয়ে হকার উচ্ছেদ অভিযানে নামে বিষ্ণুপুর পুরসভা। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযানের গোড়াতেই ধাক্কা খেতে হয় পুরসভাকে। এদিন শুরুতেই জেসিবি নিয়ে শেখ মফিজ নামের এক ফল ব্যবসায়ীর দোকান উচ্ছেদ করতে গেলে ওই ফল ব্যবসায়ী বাধা দেন বলে অভিযোগ। বাসস্ট্যান্ডে হকারি করার জন্য পুরসভা প্রদত্ত বৈধ লাইসেন্স রয়েছে ও নিয়মিত পুরসভার কর জমা করেন এই দাবি করে শেখ মফিজ তার দোকান উচ্ছেদ না করার জন্য পুরসভার অফিসারদের অনুনয় বিনয় করতে থাকেন। পুর আধিকারিকরা তাঁর কথায় কর্নপাত না করে জেসিবির সাহায্যে শেখ মফিজের দোকান ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু শেখ মফিজ নিজের অস্থায়ী দোকান থেকে না বেরোনোয় দোকানের একাংশ ভেঙেই সাময়িক রণে ভঙ্গ দিতে হয় পুর আধিকারিকদের। শেখ মফিজের দাবী বাসস্ট্যান্ডে ব্যবসা করার জন্য পুরসভা তাঁকে বৈধ ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে। ব্যবসার জন্য তিনি মাসিক কর জমা করেন পুরসভায়। এই অবস্থায় কোনোরকম আগাম নোটিশ না দিয়ে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে তাঁর দোকান ভেঙে ফেলতে চাইছে বিষ্ণুপুর পুরসভা। পুরসভার আধিকারিকদের দাবী শেখ মফিজের যে লাইসেন্স রয়েছে তা দোকানের জন্য নয়। বাসস্ট্যান্ডে ঘুরে ঘুরে ব্যবসা করার জন্য। আপাতত ওই ব্যবসায়ীকে সময় দেওয়া হলেও দোকান ভাঙা হবেই দাবী পুর আধিকারিকদের।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct