মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: বর্ধমান শহরের ভাতছালা এলাকায় কালে খাঁ মসজিদ নামে স্থানীয় ভাবে পরিচিত। প্রাচীন শরীফাবাদ এর বাঁকা নদীর তীরে ভাত সালা নামে এক স্থান ছিল।মুঘল যুগে লৌহ জাতীয় ধাতু গলানোর জন্য এই অঞ্চলে অনেক ভাটি ছিল।যা থেকেই এই অঞ্চলের নাম হয়ে যায় ভাট্টিসালা। পরে শব্দ বিকৃতি হয়ে ভাত সালা , বর্তমানে ভাতছালা।এখানেই অবস্থিত কালে খাঁ মসজিদ।বহু প্রাচীন এই মসজিদ অতীত এর বহু ইতিহাসের সাক্ষী বহণ করে চলেছে। আনুমানিক ৩৩১ বছরের প্রাচীন ‘কালে খাঁ মসজিদ’। আরবি হিজরী মাসের ১১১৩ সালে নির্মিত। গঠন প্রকৃতির দিক দিয়ে দেখতে গেলে এটির গোল গম্বুজ, চারটি মিনার,একটি দরজা,দুটি জানালা, সেই সঙ্গে চুন সুরকির নির্মাণ কাজ।তৎকালীন নবাব সুজাউদ্দিন এটি নির্মাণ করেন। ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদকুলি খাঁ কে বাংলার গভর্নর করেন সম্রাট ঔরঙ্গজেব। ১৭২৭ সালে বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার নবাব পদে বসেন মুর্শিদকুলি খাঁর জামাত সুজাউদ্দিন খাঁ।তিনিই তার শশুর মশাই মুর্শিদকুলির নামে ভাতছালাই কুলি খান মসজিদ নির্মাণ করেন। কুলি খান থেকেই কালক্রমে শব্দের বিকৃতি ঘটে কালে খান মসজিদ নামে পরিচিত হয়।পরে এই মসজিদ সম্রাট ঔরঙ্গজেব এর নামে উৎসর্গ করেন সুজাউদ্দিন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct