আপনজন ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন সকালে ডিম খাওয়া উচিত। এতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। একটা জিনিস খেয়াল করছেন, ডিমের কুসুমের রং কিন্তু ভিন্ন হয়।যেমন হলুদ, গাঢ় কমলা ইত্যাদি। অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে কোন রঙের কুসুমের স্বাস্থ্যগুণ বেশি বা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। অনেকের মনে হতে পারে গাঢ় রঙের কুসুমের পুষ্টিগুণ বেশি। এক গবেষণায় দেখা গেছে, কুসুমের রং নির্ভর করে মুরগি কী ধরনের খাবার খাচ্ছে তার ওপর। তবে কুসুমের রং গাঢ় হয় এতে থাকা ক্যারোটিনয়েডের উপস্থিতির ওপর। এই বিশেষ রঞ্জক পদার্থটি ডিমের রং কমলা হতে সাহায্য করে। যেসব মুরগি খোলা জায়গায় ঘুরে বেড়ায় সেসব মুরগির ডিমের কুসুমের রং কমলা বা গাঢ় হয়। এ ধরনের মুরগি নিজের খাবার নিজেই সংগ্রহ করে প্রাকৃতিকভাবে। এ খাবারগুলোই ক্যারোটিনয়েডের উৎস হিসেবে কাজ করে। ফলে কুসুমের রং কমলা হয়। অন্যদিকে খামারে যেসব মুরগি পালন করা হয় তাদের কিছু নির্দিষ্ট খাবার দেওয়া হয়। সেই খাবারগুলো আসলে প্রাকৃতিকভাবে আসে না। তাই ওই খাবার থেকে খামারের মুরগি ক্যারোটিনয়েড পায় না। ফলে কুসুমের রং হালকা বা হলুদ হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, খামারের মুরগির ডিমেও গাঢ় কুসুম পাওয়া সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের খাবার খাওয়ানো দরকার। মুরগির রোজকার খাবারে কিছু নির্দিষ্ট পুষ্টি উপাদান থাকলেই কুসুমের রং গাঢ় হবে। প্রাকৃতিকভাবে যেসব মুরগি খাবার খুঁজে খায় সেসব মুরগির ডিমে পুষ্টি উপাদান একটু বেশি থাকে। এ ধরনের ডিমে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। রং গাঢ় হওয়ায় ক্যারোটিনয়েডের পরিমাণও বেশি হয়। স্বাদও বেশি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct