সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: গরুপাচার মামলায় নাম জড়াল ৩ ‘প্রখ্যাত’ সাংবাদিকের। নেপথ্যে তাঁদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি, সততার পথে থেকে যা অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই তিনজনেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির র্যাডারে চলে এসেছেন। প্রত্যেকেই বৈদ্যুতিন গণমাধ্যমের সাংবাদিক। অবশ্য এঁদের মধ্যে প্রয়াত। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে কেষ্টগড় বীরভূমে। প্রসঙ্গত, এই চ্যানেলগুলিই দিনরাত গরুপাচার মামলাকে সামনে রেখে ‘সততা’ উগরে ফেলে!অতি জনপ্রিয় এই তিনটি গণমাধ্যম। সূত্রের খবর, তিন সাংবাদিকই বীরভূমের জেলা সংবাদদাতা। প্রশ্ন তাঁদের বেতন ঠিক কত ছিল বা আছে, যে এক সাংবাদিকের বীরভূমে একাধিক বাড়ি থাকার পাশাপাশি কলকাতাতে রয়েছে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট! রয়েছে রেস্টুরেন্টও। আরও একজনের নাম উঠে আসছে। গরুপাচারকারী বলে অভিযুক্ত আব্দুল লতিফের ঘনিষ্ঠ সেই সাংবাদিক। ওই সাংবাদিকের বাবা না কি ‘কয়লা মাফিয়া’ বলেই পরিচিত। অপর সাংবাদিকের বাড়ির ছাদে রয়েছে সুইমিং পুল! শোনা যায়, তিনি না কি বিদেশি ব্র্যান্ড ছাড়া জুতো বা পোষাক পরেন না। নিয়মিত অভ্যাস হাউস পার্টির। প্রশ্ন তাঁর বেতন কত? স্থানীয় বেশ কিছু ব্যবসায়ীকে ধমক দিয়ে বাড়ি তৈরির জন্য ইমারতি দ্রব্য নেওয়ার অভিযোগও শোনা যায় এলাকায়।গরুপাচারের ভাগ কি তাঁরা নিতেন? এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বীরভূমের একাংশের অভিযোগ, ‘গরু পাচার’ খবর প্রকাশ না করার শর্তেই নেওয়া হত ‘গরুপাচার’-এর টাকা থেকে কমিশন। এমনকি সেই টাকা না কি যেত মিডিয়া হাউসের বেশ কিছু ‘বড় মাথা’দের কাছেও! অথচ তাঁরাই ‘লোমহর্ষক’ খবর পরিবেশন করেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার র্যাডার যে তিন জেলা সাংবাদিকের দিকে তাঁদের মধ্যে ১ জন মহিলাও রয়েছেন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁদের সম্পত্তি ও বেতনের ওপর নজর রাখতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, কেষ্ট ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করেছে সিবিআই । এবার আরও ৩ সাংবাদিকের সম্পত্তি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct