আপনজন ডেস্ক: আর মাত্র ১৯ দিন। হ্যাঁ, এখন আমরা বিশ্বকাপের মাসে প্রবেশ করেছি। আর কাতারে ক্রীড়া বিশ্বের রোমাঞ্চকর এই মহাযজ্ঞ শুরুর আগে খেল দেখাচ্ছে চোট। বিশ্বকাপের আগে একের পর এক চোট ছিটকে দিচ্ছে তারকা ফুটবলারদের। বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে নামার আগে ক্লাব ফুটবলে এখনো কিছু ম্যাচ বাকি আছে। ফুটবল সমর্থকেরা দুরু দুরু বুকেই পছন্দের খেলোয়াড়দের খেলা দেখতে বসছেন। একটি ট্যাকল, একটি টার্ন কিংবা নিতান্ত হাঁটাচলার মধ্যেই যে ঘটে যাচ্ছে বড় দুর্ঘটনা। বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাচ্ছে প্রিয় খেলোয়াড়টির। মধ্যপ্রাচ্যে বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্তের পর থেকেই যেসব প্রশ্ন বড় হয়ে সামনে এসেছিল, তার একটি ছিল সময়। নভেম্বর মাসের বিশ্বকাপ নিয়ে আপত্তি ছিল অনেকের। সাধারণত জুন–জুলাই মাসেই সবাই বিশ্বকাপ দেখে অভ্যস্ত। কাতারের তীব্র গরমের কারণে বিশ্বকাপকে ঠেলে দেওয়া হয় নভেম্বর মাসে। সময়ের এই পরিবর্তনের মাঝেই লুকিয়ে ছিল চোটে পড়ার মূল বীজটা। সাধারণত ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের মৌসুম শেষ হওয়ার পর নতুন মৌসুম শুরুর মাঝামাঝি সময়ে মাঠে গড়াত বিশ্বকাপ। খেলোয়াড়েরা একরকম সতেজ থেকেই বিশ্বকাপে চোখ রেখে প্রস্তুত হতে পারতেন। তবে এবার পরিস্থিতি বদলে গেছে। উপর্যুপরি খেলার মধ্যে থাকার চাপ অনেকেই নিতে পারছেন না। যা চোটকেও জেঁকে বসার সুযোগ করে দিয়েছে। চোট–সমস্যা অবশ্য খুব নতুন কিছু নয়। চোট এর আগেও বিভিন্ন সময় একাধিক ফুটবলারকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিয়েছিল। ১৯৬২ সালে চোটে পড়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন আলফ্রেডো ডি স্টেফানো। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে পেশির চোটে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েন ব্রাজিলের ১৯৯৪ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক রোমারিও। ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা ২০০২ বিশ্বকাপে দর্শক হয়েছিলেন ডান পায়ের লিগামেন্টের চোটে পড়ে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে একই কারণে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাননি রিও ফার্ডিনান্দ। একই বিশ্বকাপে জার্মান তারকা মাইকেল বালাকেরও হয়েছিল অভিন্ন পরিণতি। এ ছাড়া ডেভিড বেকহাম, মাইকেল ওয়েন, রাদামেল ফালকাও এবং মার্কো রয়েসসহ অনেককে বিভিন্ন বিশ্বকাপে চোটের কারণে দর্শকের ভূমিকা থাকতে হয়েছিল। তবে এবারের পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct