সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: চিত্রটা বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়েরের। পাত্রসায়ের ব্লকে দ্বারকেশ্বর নদীতে অবস্থিত নারাঙ্গীর ঘাট। ঘাটের এক পারে অবস্থিত পাত্রসায়ের ব্লক আর অপর পারে রয়েছে জয়পুর ব্লক। রুজির টানে বা নিত্য নৈমিত্তিক কাজে এপার থেকে ওপারে আসতে গেলে বাধ্য হয়ে নিতে হয় এই ঝুঁকিপূর্ন নদীপথ। প্রায় প্রত্যেকটা দিনই জীবনকে হাতে নিয়ে মানুষজন বাধ্য হয়ে পারাপার করে এই রাস্তায়। পূর্বে অনেক বিপত্তি ঘটে গেলেও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের বার বার জানিয়েও মেলেনি কোনো সুরাহা। যাত্রীদের চাপ অতিরিক্ত থাকায় বেশি মাত্রায় যাত্রী নিয়ে পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ শুধু তাই নয় প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট খাড়াইে নেমে নৌকায় চাপতে হয় নিত্যযাত্রীদের। বছরের-পর-বছর প্রজন্মের পর প্রজন্ম একই সমস্যা নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে পারাপারকারী মানুষদের। স্থানীয়দের এই ধরনের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি পাকা স্থায়ী পাকা সেতু। এই নিয়ে একাধিক বার প্রশাসনিক বিভিন্ন স্তরের জানানো হলেও সমস্যা সমাধানের নামগন্ধ নেই।স্থানীয় এক সিপিএম নেতা জানান, সরকারের বিভিন্ন টাকা বে-হিসাব খরচ হচ্ছে, নেতারা লক্ষ লক্ষ টাকা কাটমানি পকেট ভরছে অথৈ অথচ মানুষের সমস্যা সমাধানের কোন নাম গন্ধ নেই, তারা এই ক্ষেত্রে সরকারের গাফিলতির অভিযোগ এনেছে।তবে স্থানীয় পাত্রসায়ের ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক নিবিড় মন্ডল জানান বিষয়টা পঞ্চায়ের লেভেল থেকে আমরা অনুরোধ পেয়েছি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আমরা আলোচনা করছি,তবে এক্ষেত্রে সরকারের কোনো গাফিলতি নেই বলেই তিনি জানান। বিষয় যাই হোক না কেন নদীর এপার থেকে ওপারে পারপারকারি মানুষ গুলোর কি আদেও কোনো সমস্যা সমাধান মিলবে, নাকি একই ভাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তারা তিমিরেই থাকবে এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct