সজিবুল ইসলাম, ডোমকল, আপনজন: ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত জলঙ্গী ব্লকের সাগরপাড়া থানা এলাকার চর কাকমারি, সিংপাড়া,খাস মহল সহ একাধিক এলাকার কৃষি জমি পদ্মা নদীর ভাঙনে তুলিয়ে যাচ্ছে । সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে বৃহস্পতিবার সকালে পরিদর্শনে গেলেন জলঙ্গি বিধানসভার বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক সহ ১৪১ নং বিএসএফ আধিকারিক ও একটি প্রতিনিধি দল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগুয়া চরের কৃষি জমি পদ্মা নদীর গর্ভে তুলে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক জায়গায় বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করলেও মূলত তাতে কোন কাজই আসেনি। ভাঙনের মুখে পড়ে সব তলিয়ে যায়। ভাইফোঁটার সকালেই ভাঙনে কবলিত কৃষি জমি স্থানগুলতে পরিদর্শনে গেলেন জলঙ্গীর বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক, ১৪১ নম্বর বিএসএফ আধিকারিক সহ একটি প্রতিনিধি দল।
পদ্মা নদীর পাড়ের গোটা এলাকাটা স্প্রিড বোর্ডে করে পরিদর্শন করলেন বিধায়ক। পরিদর্শন শেষে বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক জানান এলাকার মানুষ অনেক সমস্যার মধ্যে আছে, তবে ঘটনার সমস্ত বিষয়টি আমি রাজ্য সরকারকে জানাবো এবং আমাদের যে সাংসদ রয়েছেন তাকে বিষয় টা জানবো তিনি যেনো পার্লামেন্টে গিয়ে সীমান্তের পদ্মা নদীর ভাঙন নিয়ে কথা বলবেন এবং কেন্দ্র সরকারের সাহায্যের মাধ্যমে স্থায়ী নদী বাধার ব্যবস্থা করেন ।তবে মানুষের পাশে সব সময় আছে দল ও সরকার বলেও বিধায়ক জানান। স্থানীয়দের বক্তব্য অনেকেই পরিদর্শন করেন কোন কাজে আসে না। ভাঙন রোধ করার আর্জি জানান ভাঙন কবলিত এলাকার কৃষক সহ এলাকার মহিলারা। সীমান্তের এক মহিলা বলেন যা কৃষি জমি ছিল তা সম্পূর্ণ ভেঙে তলিয়ে গিয়েছে পদ্মা নদীতে , এখন কোন চাষাবাদ করার মতন কোন কৃষি জমি বেঁচে নেই।সংসার চালানো অনেক কষ্ট হচ্ছে।সরকারের সাহায্যের আবেদনও করেন ওই মহিলা।তবে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ ভাঙন রোধের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানা যায়। জেলার অপর প্রান্ত শামশেরগঞ্জেও গঙ্গা ভাঙনে ঘরছাড়া হচ্ছে এলাকার মানুষ। ঠিক জেলার আরেক প্রান্ত ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত জলঙ্গি আর সেই জলঙ্গিতেও ভাঙনের দেখা মিলেছে। ভাঙন দেখা দেয়াতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সীমান্তের কৃষকেরা। ভাঙন রোধের অপেক্ষায় দিন গুনছে সীমান্ত এলাকার মানুষ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct