সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: পরিবেশকে সংরক্ষণ করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বৃক্ষরোপণে যেখানে বারংবার জোর দেওয়া হচ্ছে, সেখানে এক উল্টোপূরান দেখা গেল বাঁকুড়ার সোনামুখীতে। বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের রাধামোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলোয়া ফরেস্ট থেকে কেউ বা কারা রাতের অন্ধকারে প্রশাসনের দৃষ্টির অগোচরে সাফ করে চলেছে জঙ্গল। এই ঘটনা কোন অল্প দিনের নয় দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে জঙ্গল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন এই বিষয়টা একাধিকবার পঞ্চায়েতে জানানো হয়েছে কিন্তু কোন সুরাহা মিলেনি, তারা এও বলছেন পুরো বিষয়টি পঞ্চায়েত জানে, গাছ কাটার কথা তাদেরকে জানাতে গেলে তারা বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন।
এই বেলোয়া ফরেস্ট এর ঠিক পাশেই অবস্থিত দামোদর, বর্ষার চোখ রাঙানি এলেই ভাঙনের সাক্ষী থাকে দামোদরে পাড়। এই জঙ্গল থাকাতেই ভাঙনের হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যায় এমনটাই জানাচ্ছেন এলাকাবাসীরা। কিন্তু এইভাবে নির্বিচারে জঙ্গল সাফ করলে নেমে আসতে পারে বড় বিপত্তি। এই অরন্য ধংস নিয়ে শুরু হয়েছে শাষক বিরোধি তরজা সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী জানান সোনামুখীর দক্ষিনে জঙ্গল আর উত্তরে দামোদর নদী, শাষক দলের মদতেই সেই বনভূমিকে মূল্যবান কাঠ পাচার হয়ে যাচ্ছে, অপর দিকে সোনামুখী পঞ্চায়ের সমিতির সভাপতি প্রনব রায় জানান, পঞ্চায়েতের তরফ থেকে যথেষ্ট দেখভাল করা হয় এই বনভূমির, যদি এই ধরনের গাছ চুরির কোনে অভিযোগ আসে অবশ্যই খতিয়ে দেখবো, এক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের গাফিলতির কোনো ব্যাপার নেই। তবে শাসক-বিরোধী তরজা যায় হোক না কেন,প্রকৃতির এই নির্মল কোলকে ধ্বংস করাকে প্রতিরোধ করার জন্য কত সচেষ্ট হয় প্রশাসন সেটাই এখন দেখার বিষয়। আতেও কি রক্ষা পাবে এই বনভূমি সেটাও এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct