আপনজন ডেস্ক: গুজরাতের বিজেপি সরকার বিলকিস বানু মামলায় ১১ জন দোষীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে। সেই বিতর্কের মধ্যে বিলকিস বানুর স্বামী ও একজন সাক্ষী এই তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন যে, গুজরাত সরকার সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা দাখিল করার পরেই তারা ধর্ষণ ও হত্যার দোষীদের মুক্তির সাথে সম্পর্কিত বিশদ সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন। বিলকিস বানুর স্বামী ইয়াকুব প্যাটেল বলেন, গুজরাত সরকারের কাছে তারা ক্ষমা সংক্রান্ত তথ্য চেযেছিলেন। কিন্তু গুজরাত সরকার সেই তথ্য তাদেরকে সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছিল।
ইয়াকুব প্যাটেল আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যখন জিজ্ঞাসা করেছিল, তখন গুজরাত সরকার বলেছিল যে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন নিয়েছে। অথচ, আমরা বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলাম, তখন আমরা একটি তথ্যও পাইনি। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে, রাজ্য সরকার ১৫ আগস্ট বিলকিস বানু মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১১ জন দোষীকে মুক্তি দেয়, যারা বিলকিসকে গর্ভবতী অবস্থায় গণধর্ষণ করেছিল ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময়। তার তিন বছরের মেয়েকে তার এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের তার সামনে হত্যা করেছিল। অথচ, সেই সব দোষীদের “ভাল আচরণের” কারণ দেখিয়ে মুক্তি দেওয়অ হয়েছে। যারা এই ধরনের জঘন্য অপরাধ করেছে তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর জন্য গুজরাত সরকার অবশ্য প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে। মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য যারা দোষী, তাদের মুক্তিতে সম্মতি দেওয়ার জন্য বিরোধী নেতারা নরেন্দ্র মোদী সরকারকে টেনে আনেন। তাদের মুক্তি দেওয়ার আগে, সরকার এমনকি বেঁচে যাওয়া বিলকিসের মতামতও নেয়নি, যিনি তাদের মুক্তির কথা শোনার পর থেকেই হতবাক হয়ে আছেন। সবচেয়ে কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় হল দোষীদের মুক্তির পরেও শাস্তি মকুব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করছে না গুজরাত সরকার। প্যাটেল ও সাক্ষী রাজ্জাক মনসুরি বলেছেন, , তারা দোষীদের মুক্তি পাওয়ার পরপরই বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মকুফ সম্পর্কিত বিশদ বিবরণ চেয়েছিলেন। মানুসরি বলেন, তিনি পঞ্চমহল জেলা কালেক্টরেটে আরটিআই করেছেন যদিও দু’মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও প্রশাসনের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct