আপনজন ডেস্ক: ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় ধর্ষণের শিকার হন বিলকিস বানু । পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে ধর্ষণ করার পাশাপাশি তাঁর তিন বছরের মেয়েসহ পরিবারের সাত সদস্যকে হত্যা করা হয়। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত ১১ অপরাধীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন। বোম্বে হাইকোর্টও সেই সাজা বহাল রাখেন। তবে গত ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে ১৪ বছর সাজাপ্রাপ্ত ওই ১১ জনকে গুজরাট সরকার ক্ষমা করে মুক্তি দেয়। গুজরাটের গোধরা জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ওই অপরাধীদের ফুলের মালা পরিয়ে কপালে তিলক কেটে মিষ্টি খাইয়ে বরণ করা হয়। এ ঘটনা দেশজুড়ে বিক্ষোভের জন্ম দেয়। ধর্ষকদের কেন এভাবে মুক্তি দেওয়া হল? সুপ্রিমকোর্টের এমন প্রশ্নের মুখে পড়ে একটি হলফনামায় গুজরাট সরকার জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ১১ জুলাই একটি চিঠির মাধ্যমে দণ্ডিত এসব ব্যক্তিকে সাজা পূর্ণ হওয়ার আগেই আগাম মুক্তির অনুমোদন দিয়েছিল। জেলে নাকি তাঁদের আচরণ ভালো ছিল। এই ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে করা তিনটি আবেদনের ওপর সর্বোচ্চ আদালত শুনানি করেন। দণ্ডিত ব্যক্তিরা মুক্তি পাওয়ার পর ২৩ আগস্ট গুজরাট সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সিপিএম নেত্রী সুভাষিণী আলী, তৃণমূল কংগ্রেস সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র, সাংবাদিক রেবতী লাল ও অধ্যাপক রূপরেখা ভার্মা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ আগস্ট সেই মামলার প্রথম শুনানিতে গুজরাট সরকারকে নোটিশ পাঠানো হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct