মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে খারিজী মাদ্রাসা গুলি দ্বীন ইসলামের প্রচার প্রসার করে আসছে। এই মাদ্রাসাগুলির সম্পূর্ণভাবে মুসলিমদের দানের উপর চলে। এই মাদ্রাসাগুলি যেমন আলেম উলামা তৈরি হয়। অথচ, এই খান থেকে মুসলিম সমাজের ধর্মীয় ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে মাদ্রাসায় কমিশন ভিত্তিক আদায়কারী নিয়োগ করার অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ ৩০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত মাদ্রাসার নামে আদায় করে আদায়কারী নিজে পয়সা নিয়ে নেবেন বাকি পয়সা মাদরাসাকে দেবেন। তাই মুসলিম সমাজ থেকে প্রশ্ন উঠছে, ইসলামের লেবাস পরে নিজেদের রোজগারের তাগিদে ব্যক্তি স্বার্থে যারা এরকম কাজ করে যাচ্ছেন ও নিজেদের আখেরাতকে জলাঞ্জলি দিচ্ছেন তা সম্পূর্ণ ইসলামী রীতি-নীতির ঊর্ধ্বে উঠে এই শ্রেণীর আদায় জায়েজ কিনা ভাবছে না। বাংলার কোন আলেম উলেমা মুফতি এ বিষয়ে কোনো ফতোয়া জারি করেননি। সাধারণ মুসলমানরা দ্বন্দ্বে আছেন তারা কোথায় দান করছেন সেই দান কোথায় পৌঁছাচ্ছে। দান করার সময় মানুষ না দেখলেও এক শ্রেণির মানুষের অদায় করার প্রবণতা প্রকৃতপক্ষে মাদ্রাসার ভবিষ্যৎকেই ক্ষতি করছে বলে মাদ্রাসা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। মাদ্রাসা এবং মুসলমান সমাজকে সঠিকভাবে দিশা দেখানোর জায়গায় ওই শ্রেণীর কর্মকর্তারা নিজেরাই দিশাহীন। দিশাহীন মুসলিম সমাজ একের পর এক সমস্যায় জর্জরগ্রস্থ পথ দেখানোর কেউ নেই। তথাকথিত পথ দেখানোর লোকেরাই আখের গোছাতে ব্যস্ত। মাদ্রাসার নামে একশ্রেণির মানুষ সারা বছরই মানুসের কাছ থেকে অর্থ অঅদায় করতে ব্যস্ত থাকে। তার মূলে তার কমিশনের স্বার্থ। তাদের হাতে মুসলিম সমাজ লুন্ঠিত হচ্ছে। আর মাদ্রাসাগুলিও তাদের প্রকৃত অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct