মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: নিজের আখেরাত কে সুন্দর করার জন্য ও পরকালের পাথেও সংগ্রহ করার জন্য ধার্মিক মুসলিমরা খারিজি মাদ্রাসা কে সাহায্য করে । এই মাদ্রাসা গুলি মুসলিম সমাজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে ।জন্মের সময় বাচ্চার কানে আজান দেওয়া থেকে মৃত্যুর সময় দাফন করা পর্যন্ত এই মাদ্রাসা শিক্ষা প্রয়োজন । পশ্চিমবঙ্গে বহু মাদ্রাসা এই খিদমতে সামিল আছে । দুর্ভাগ্য জনক মুসলিম সমাজের ধর্মীয় উদারতাকে এক শ্রেণীর ধান্দাবাজ ব্যাক্তি স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছে । গাড়ি নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় বাড়িতে বাড়িতে চিল চিৎকার করে গজল কেরাত পড়ে মাদ্রাসার নাম করে কালেকশনে বেড়িয়েছে একশ্রেণীর অসাধু মানুষ। এই শ্রেণীর বেশিরভাগ মানুষের না আছে সঠিক পরিচয় পত্র না সঠিক মাদ্রাসার ঠিকানা ও ফোন নাম্বার । এই শ্রেণীর কালেকশন রাবেতায়ে মাদারিসের স্বীকৃতি কিনা কেউ জানে না। মাদ্রাসা নিয়ে একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিরা জাল বিল ছাপিয়ে মানুষকে প্রতারণা করছেন। পূর্ব বর্ধমানে এমন কিছু মাদ্রাসার দেখা পাওয়া গেছে যাদের তথা কথিত আদায়কারী মাদ্রাসার বিল নিয়ে মাসে মাত্র তিন হাজার টাকা দেন। এই বিল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করলেও মাদ্রাসাকে দেয়ার দায়-দায়িত্ব থাকে না। মোটকথা মাদ্রাসা নিয়ে ব্যাপক অসাধুচক্র সক্রিয় আছে । রাবেতায়ে মাদারিস যাদের এই সমস্ত কিছু দেখভাল করার দায়িত্ব তারাও একপ্রকার মুখ লুকিয়ে আছে। তারা দেখেও দেখে না বা এই বিষয়েও তাদের কর্ণগোচরে কেউ তোলে না। পূর্ব বর্ধমানের কিছু কিছু মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা থেকে আদায়কারীর সংখ্যা অনেক পরিমাণে বেশি। তাদের মূল উদ্দেশ্য এই মাদ্রাসা থেকে ব্যবসা করা এবং তাদের নিজের সংসার চালানো ও বড়োলোক হওয়া মূল উদ্দেশ্য।
মুসলিম বুদ্ধিজীবীরা রাবেতে মাদারিসের কাছে দাবি করছে যে মাদ্রাসা গুলিতে কত ছাত্র-ছাত্রী আছে এবং কত আদায়কারী জানাক । যে আদায়কারী থাকবে তার স্বীকৃতি বা পরিচয় পত্র ব্যবহার করার এইসব নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে। মুসলিম সমাজ এমনিতে সম্প্রদায়িক শক্তির চোখরাঙানিতে আছে ।দেওবন্দ মাদ্রাসা ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে আধুনিক শিক্ষার কার্যক্রম নিয়ে খারিজি মাদ্রাসার অমূল পরিবর্তন করতে চাইছে ।সঠিক এবং সুদূর প্রসারি চিন্তা ভাবনা না করলে অতল গহবরে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা মুসলিম সমাজের ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct