সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: প্রবল জলোচ্ছ্বাসের জেরে সমুদ্রসৈকত থেকেই সমুদ্রস্নানে মেতে উঠলেন পর্যটকরা। রবিবার এই ছবি দেখা গেল দিঘায়। সকাল থেকে দিঘার আকাশ মুখ ঢেকেছিল কালো মেঘে। সঙ্গে ছিল ঝিরঝিরে বৃষ্টিও। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গোটা সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের দখলে চলে যায় । পূর্ণিমার ভরা কোটাল থাকায় রবিবার সকাল থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে সমুদ্র। গার্ডওয়াল টপকে বড়বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে সমুদ্রতটে। পর্যটকদের একাংশ অবশ্য বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সমুদ্রসৈকত থেকে মেতে ওঠেন স্নানে।
এমন পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই যাতে পর্যটকরা সমুদ্রস্নানে নেমে না পড়েন, সে দিকে কড়া নজর রেখেছে প্রশাসন। মাইকের মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে পর্যটকদের সতর্ক করে দীঘা প্রশাসন । জোয়ারের সময় সমুদ্রের প্রতিটি ঘাট দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে মোতায়েন রাখা হয় নুলিয়া, সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীদের। রবিবার পর্যটকদের অনেককেই দেখা যায় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সমুদ্রসৈকতে এসে পৌঁছেছেন। সমুদ্রের ঢেউ বড় বড় হওয়ায় তা গার্ডওয়াল টপকেও পৌঁছে যায় সৈকতেও। অনেক পর্যটককেই দেখা যায় গার্ডওয়ালের আড়ালে তাঁরা মেতে উঠেছেন স্নানে।পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আগাম সতর্কবার্তা থাকায় দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর-সহ সর্বত্র সমুদ্রস্নানে দু’দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে আসতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মৎস্যজীবীদের। সেই সঙ্গে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বাঁধের পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। সব রকমের অঘটন ও দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। তবে রবিবার সব হোটেলই প্রায় বুকিং ছিল। উত্তাল সমুদ্র দেখতে পর্যটকদের ভিড় ছিল নজর কাড়ার মত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct