সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: বাগুইআটির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখের। অত্যন্ত বেদনার। পাশাপাশি অত্যন্ত উদ্বেগের, অত্যন্ত আতঙ্কের। জোড়া ছাত্র খুনের ঘটনায় বুধবার এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন,একদিকে যেমন বাংলার প্রশাসন পুলিশ চোরদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে, তেমনি উল্টোদিকে সেই পুলিশ ১৩ দিন ধরে তাদের অপদার্থতা তাদের গাফিলতি ধামা চাপা দেবার চেষ্টা চালিয়ে গেল। শেষে মর্গে জানা গেল দুটো কিশোরের পরিচয়। এক দিকে গভীর দুঃখ , অন্যদিকে রাগ, ঘৃনা। ধিক্কার জানাই বাংলার পুলিশ ও তাদের পুলিশমন্ত্রী, মমতা ব্যানার্জি কে, প্রতিক্রিয়া অধীর চৌধুরীর। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই নির্মম হত্যার দায় কার?
১৩ দিন ধরে ধামা চাপার চেষ্টা কেন ? চোরদের বাঁচানোর জন্য তো এক মুহুর্ত দেরী হয় না, রাজ্যের শাসক দলের দিকে তির্যক সুরে মন্তব্য অধীরবাবুর।বাংলায় এমন অপহরণ - নির্মম হত্যা আমরা আগে দেখিনি বলে জানান অধীর চৌধুরী। বাংলায় অপরাধ বাড়ছে, শাসক দলের প্রশ্রয়ে বাড়ছে, মুখ্যমন্ত্রী র প্রশ্রয়ে বাড়ছে, অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। একদিকে রাজ্যের থানা গুলোয় প্রচুর শূন্যপদ, পুলিশ অফিসার নেই, নতুন নিয়োগ হচ্ছে না, কনস্টেবল এর ঘাটতি, সব কিছুতেই "সিভিক" দিয়ে চালাতে চাইছেন আপনি, মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে এই প্রশ্ন করেন অধীর বাবু। তিনি বলেন, সিভিক ভলান্টিয়ার ক্রিমিনাল ধরবে ? আর যে কজন হাতে গোনা "পুলিশ" আছে, তাদের দলদাস করে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী, অপরাধীরা প্রশাসন পুলিশ কে পরোয়া করছে না, কারণ দেখছে পুলিশ নিজেই অপরাধী দের বাঁচাতে তৎপর, চোরদের বাঁচাছে পুলিশ। বাগুইহাটিতে জোড়া ছাত্র খুলে বুধবার এভাবেই আগাগোড়া শাসক দলকে বিধলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আবার বলেন, আবারও বলছি, আপনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বাংলার পুলিশ মন্ত্রী কিন্তু আপনার জন্যই আপনার ও আপনার দলের কাজকর্মের জন্যই এ বাংলায় অপরাধ বাড়ছে, যার মাশুল দিতে হচ্ছে নিরপরাধ বাংলার মানুষকে, তরতাজা দুটো প্রাণ চলে গেল! জানিনা বাংলার এই অপরাধের অন্ধকার কবে কাটবে আক্ষেপ অধীর বাবুর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct