সাইফুল লস্কর, বারুইপুর, আপনজন: পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবার শিক্ষারত্ন সম্মানে ভূষিত করছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যারয়ের অধ্যাপক ড. ফারুক রহমানকে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুর খোদার বাজার গ্রামের বাসিন্দা অধ্যাপক ড. ফারুক রহমান ২০০২ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষকতায় নিযুক্ত হন। ২০২০ সালে আমেরিকার স্ট্যান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের সোসাইটির বিশ্ব ক্রম তালিকায় দুই শতাংশের মধ্যে স্থান করে নেন। ইংল্যান্ডের রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটিতে ফেলো হিসাবে নিযুক্ত হয়ে গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দেন। টাইম মেশিনে ভ্রমণ এক সময় ছিল কল্পবিজ্ঞান বিষয়, কিন্তু সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ফারুক রহমান তার আন্তর্জাতিক গবেষণা পত্রে জানিয়েছিলেন, টাইম মেশিনে ভ্রমণ সম্ভব। তার এই যুগান্তকারী গবেষণায় আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট মহলে সাড়া ফেলে দিয়েছিল।
ড. রহমানের ৩০০-র বেশি গবেষণাপত্র বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশিত হয়। ইংল্যান্ডের রয়েল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটিতে ফেলো হিসেবে নিযুক্ত হয়ে গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। ড. রহমান ওয়ার্মহোল নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে মহাকাশের বুকে শর্টকাট পথ আছে তা তিনি প্রমাণ করেন। তার ৩২৫ এরও বেশী গবেষণাপত্র বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশিত হয়। অধ্যাপক ডক্টর ফারুক রহমানের লেখা গ্রন্থ থিওরি অফ রিলেটিভিটি ক্যামব্রিজের ইউনিভার্সিটিতে ২০২১সালে প্রকাশিত হয়। টাইম মেশিন নিয়ে অনেক অজানা তথ্য এই বইয়ে সম্বলিত হয়ে বলে তিনি জানান। তাই এই বইটি মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে যারা চর্চা করেন তাদেরও বহু কাজে লাগবে। উল্লেখ্য, টাইম মেশিন নিয়ে বিশিষ্ট পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের বহু উল্লেখেযোগ্য গবেষণা রয়েছে। এবার তার সঙ্গে যোগ হল বাঙালি বিজ্ঞানী ফারুক রহমানের গবেষণাপত্রও। ডক্টর রহমানের তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যেই ৩৩ জন পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেছেন। বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. ফারুক রহমান শিক্ষারত্ন সম্মানিত হওয়াতে ও তার এই সাফল্যকে ঘিরে শিক্ষা মহল ও বারুইপুরবাসীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের বার্তা ভেসে আসছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct