আপনজন ডেস্ক : শিশুর জন্য মায়ের দুধই সর্বোত্তম খাবার। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান মায়ের দুধেই আছে। মায়ের দুধ শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং মায়ের সঙ্গে আত্মার বন্ধন তৈরি করে। মায়ের দুধের সুরক্ষা ও প্রসারের জন্য প্রতিবছরের মতো এবারও পালিত হচ্ছে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ। শিশুর জন্য, মায়ের জন্য ও সমাজের জন্য বুকের দুধের উপকারিতার শেষ নেই। কিন্তু আমাদের অনেকেই এ ব্যাপারে সচেতন নই। সংশ্লিষ্ট সবাইকে মায়ের দুধদানের নীতিমালা মেনে চলতে হবে। সেই সঙ্গে নতুন মাকে সহায়তা করতে হবে। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান আছে মায়ের দুধে
শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান আছে মায়ের দুধেছবি: সংগৃহীত
১. চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী: গর্ভকালে তাঁরা মাকে পরীক্ষা করেন ও চিকিৎসাসেবা দেন। মায়ের দুধের উপকারিতা ও মায়ের পুষ্টি সম্বন্ধে এই সময় তাঁরা মা ও পরিবারের সবাইকে অবহিত করতে পারেন।
২. স্বাস্থ্যসেবাকর্মী: প্রসব-পরবর্তী সময়ে যেসব কর্মী সেবা দেন, তাঁদের দায়িত্ব জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো শুরু করা ও মাকে সহযোগিতা করা। শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানো বা এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং নিয়ে মা ও পরিবারের সবার সঙ্গে কাউন্সেলিং করবেন। সে সঙ্গে মায়ের পর্যাপ্ত পুষ্টি নিয়েও কথা বলবেন।
৩. পরিবারের সদস্য: শিশুর বাবা ও পরিবারের মুরব্বিদের দায়িত্ব নতুন মায়ের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা এবং মায়ের পুষ্টি নিশ্চিত করা। প্রসূতি মা যেন নবজাতককে ভালোভাবে দুধ খাওয়াতে পারেন, সে ব্যাপারে সর্বোত্তম সহযোগিতা পরিবারের সদস্যদের কাছে কাম্য।
৪. কর্মক্ষেত্রের সহকর্মী: কর্মজীবী মায়েরা মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করেন। এই সময় সহকর্মীদের সহযোগিতা ছাড়া মায়ের পক্ষে শিশুকে দুধ খাওয়ানো সম্ভব নয়। মাকে সময়মতো অবসর দেওয়া, শিশুর দিবাযত্নের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে সহকর্মীরা মাকে সহায়তা দিতে পারেন। মায়ের দুধ শিশুকে মেধাবী করে। মায়ের দুধের সুরক্ষায় আসুন সবাই এগিয়ে আসি। আমাদের সবার মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি হবে আমাদের সুন্দর আগামী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct