সানাজ, সুজাপুর, আপনজন: মালদহ জেলায় সর্বমোট ১২ টি ব্লক তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ৩টি ব্লক যা কালিয়াচক ১,২,৩ নামে পরিচিত। কালিয়াচক সম্পর্কে ফরাক্কা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, কালিয়াচক নিয়ে মাঝে মাঝেই নেগেটিভ প্রচার চোঁখে পড়ে। অথচ, কালিয়াচক তিনটি ব্লকের বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই মানবসম্পদ তৈরিতে শুরু থেকেই নিয়োজিত প্রাণ। নয়মৌজা হাই স্কুল, নয়মৌজা সুবহানিয়া হাই মাদ্রাসা আর মোজমপুর হাই স্কুল, কালিয়াচক হাই স্কুল বরাবর এই মানবসম্পদ উন্নয়নের কাজে নিবেদিত প্রাণ। প্রতি বছর এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে হিউম্যান রিসোর্সের সঠিক উৎপাদন হয়।
প্রসঙ্গত, ডা. আয়েশা সুলতানা। নয়মৌজা হাই স্কুল থেকে ১৯৯৯ এ মাধ্যমিক এবং ২০০১ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতী ছাত্রী। সেই বার ই জয়েন্ট্ পরীক্ষায় সফল। তার স্কুলের বায়োলজির নিবেদিতা রায় ম্যাডাম বলেছিলেন আয়েশাকে, দ্যাখ্ আয়েশা। এই যে ডাক্তারি পড়তে যাবি মা, শুধু এমবিবিএস নয় আরো অনেক দূর যেতে হবে। আয়েশা কথা রেখেছেন ম্যাডামের। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করার পর সফলতার সঙ্গে এম এস উত্তীর্ণ। তারপরেও থেমে থাকেননি। সম্পূর্ণ করেছে ডি এন বি। এই বছরেই জুন মাসে আবার নতুন পালক যুক্ত হলো আয়েশার জীবন উড়ানে। পাশ করলেন এমআরসিওজি (লন্ডন)। এখন রয়্যাল কলেজ অবসট্রেট্রিশিয়ানস্ এ্যান্ড্ গায়েনোকোলজিষ্টস্ এর সম্মানীয় সদস্য। আয়েশার বাড়ি কালিয়াচকের জালালপুরে। তার বাবা একজন এলাকার ফতেখানি হাই মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সলিমুদ্দিন মাষ্টার বলেই তিনি পরিচিত। আয়েশার এক দাদা আব্দুর রউফ নাজিরপুর স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক। ডাঃ আয়েশা সুলতানার বক্তব্য , “আমি কালিয়াচকের হোম প্রোডাক্ট। আমি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সৃষ্টি। নয়মৌজা হাইস্কুল আমার আলমা ম্যাটার! পশ্চিমবঙ্গের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকেই ডাক্তার হয়ে এতদূর এসেছি। কালিয়াচকে আমার মতো হাজার হাজার কৃতী সন্তানদের মাতৃভূমি। কিন্তু আমরা সবসময় নিজেদের মনে করি লাইফ লং লার্নার। আমি সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই বিশেষ করে সুজাপুর কালিয়াচকের সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের যে “আমি পেরেছি। তোমরাও পারবে। শুধু লেগে থাকো! উই শ্যাল ওভারকাম।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct