আপনজন ডেস্ক: এবার উত্তরপ্রদেশ সরকার সে রাজ্যের সরকার অনুমোদনহীন বেসরকারি মাদ্রাসাগুলির উপর একটি সমীক্ষা চালাবে। ওই্ সমীক্ষায় মাদ্রাসাগুলিতে কতজন শিক্ষক, পাঠ্যক্রম এবং মৌলিক সুবিধাগুলি উপলব্ধ রয়েছে সে সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ ব্যাপারে উত্তপ্রদেশের সংখ্যালঘু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দানিশ আজাদ আনসারি বুধবার বলেন, মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা সহজলভ্য করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের (এনসিপিসিআর) প্রয়োজন অনুযায়ী এই সমীক্ষা চালাবে। শীঘ্রই সমীক্ষাটি শুরু হবে বলে মন্ত্রী জানান। সমস্ত জেলার অফিসারদের নির্দেশে দেওয়া হয়েছে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আনসারি আরও বলেন, সমীক্ষার সময় মাদ্রাসার নাম, তার পরিচালনাকারী সংস্থা, সেটি একটি ব্যক্তিগত বা ভাড়া করা ভবনে চলছে কিনা, সেখানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পানীয় জল, টয়লেট, আসবাবপত্র এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের সুবিধা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। মাদ্রাসায় শিক্ষকের সংখ্যা, তার পাঠ্যক্রম, আয়ের উৎস এবং যে কোনও বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) সাথে এর সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কিত তথ্যও সংগ্রহ করা হবে বলে ওজানান তিনি। এই সমীক্ষার পর রাজ্য সরকার নতুন মাদ্রাসাগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশে মোট ১৬,৪৬১টি মাদ্রাসা রয়েছে, যার মধ্যে ৫৬০টিকে সরকারি অনুদান দেওয়া হয়। রাজ্যে গত ছ'বছর ধরে নতুন মাদ্রাসাগুলিকে অনুদানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। মন্ত্রী বলেন, বুধবার জারি করা আদেশ অনুযায়ী, মাদ্রাসায় বিতর্কিত ব্যবস্থাপনা কমিটির ক্ষেত্রে বা কমিটির কোনো সদস্যের অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও জেলা সংখ্যালঘু কল্যাণ কর্মকর্তা মৃত নির্ভরশীল কোটা থেকে নিয়োগ করতে পারবেন। মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকারের লক্ষ্য শুধুমাত্র অস্বীকৃত মাদ্রাসাগুলির তথ্য সংগ্রহ করা। আনসারি বলেন, সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসাগুলির শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের আবেদনের ভিত্তিতে, এখন সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসাগুলির পরিচালকদের সম্মতি এবং রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের রেজিস্ট্রারের অনুমোদন নিয়ে তাদের স্থানান্তর করা যেতে পারে।মাদ্রাসায় কর্মরত মহিলা কর্মীরাও নিয়ম মেনে মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং চাইল্ড কেয়ার লিভ পাবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct