সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড়ে মাদ্রাসা নির্বাচনের আগে বোমা বিস্ফোরণ। গুরুতর আহত এক বিধবা মহিলা। মহিলার দেওর আইএসএফ কর্মী বলে দাবি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমা রাখার অভিযোগ আইএসএফের চেয়ারম্যান নওসাদ সিদ্দিকীর। অভিযোগ অস্বীকার করে আইএসএফের দিকেই পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। গোটা ঘটনায় উত্তপ্ত ভাঙড়ের রাজনীতি।মঙ্গলবার ভাঙড় বিধানসভা এলাকার চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের চালতাবেড়িয়া গ্রামে বোমা ফেটে আহত হন এক বিধবা মহিলা। উনুনে রান্না করতে গিয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। আহতকে প্রথমে জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আইএসএফের অভিযোগ ভয় দেখানোর জন্য রাতের অন্ধকারে শাষক দলের লোকেরা বোমা রেখে চলে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী ঘটনা স্থলে যান। আহত মহিলাকে দেখতে তিনি হাসপাতালেও যান। জনাব সিদ্দিকী এদিন অভিযোগ করে বলেন, “ মাদ্রাসা নির্বাচনে হারার ভয়ে বোমা রেখে ভয় দেখানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। কোনো রকম ষড়যন্ত্র আইএসএফের অগ্রগতিকে দমাতে পারবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জঘন্য ষড়যন্ত্রকে ছিন্ন ভিন্ন করব।” পাশাপাশি তিনি এদিন এলাকার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। এদিন তিনি ঘোষণা করেন পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে, প্রয়োজনে ঘটনার বিবরণ তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানাবেন। তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামও এদিন ঘটনা স্থলে আসেন। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি পুলিশকে বলেছি যারা দোষী তাদের শাস্তি চাই। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি ভাঙড়ের সর্বত্র আইএসএফ সন্ত্রাস সৃষ্টির করার জন্য বোম, বন্দুক রাখছে। অবিলম্বে পুলিশ বোম, বন্দুক উদ্ধার না করলে বড় দূর্ঘটনা ঘটে যাবে।”ঘটনার পর এদিন এলাকায় শান্তি মিছিল করে আইএসএফ। পাল্টা অবস্থান বিক্ষোভ করে তৃণমূল।
উল্লেখ্য আসন্ন সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ তারিখে চালতাবেড়িয়া হাই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচন রয়েছে। ৬ আসন বিশিষ্ট এই মাদ্রাসা নির্বাচনে প্রার্থী পদ দাখিলের দিন ৮ সেপ্টেম্বর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct