মোস্তাফিজুর রহমান, কলকাতা: কি বলে ব্যখ্যা করা যায় ম্যাচটাকে! খেলল মোহনবাগান, গোল করলো ইস্টবেঙ্গল, আবার দিন শেষে জিতলো মোহনবাগান।আসলে পুরো ম্যাচটা জুড়ে মোহনবাগান খেললেও গোলটাই নিজেরা করতে পারেনি। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে লিস্টন কোলাসোর নির্বিষ একটা কর্ণার নিজেদের গোলে ঠেলেন সুমিত পাসি। এদিনের ম্যাচে নায়ক যদি হয় কোলাসো,খলনায়ক অবশ্যই সুমিত পাসি। শুধু আত্মঘাতী গোলই নয়,গোলও মিস করেন তিনি। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় ৬০ হাজারের বেশী দর্শকের সামনে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রথম থেকেই ম্যাচে জাঁকিয়ে বসে মোহনবাগান। কিন্তু,ওই যে গোল করার লোক নেই। গোল ছাড়া সবই করলেন হুগো,জনিরা।পক্ষান্তরে জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচের টিম ইস্টবেঙ্গল শুরু থেকেই ডিফেন্সিভ খেলতে শুরু করেন।
ফলে, মোহনবাগানের কাজটা সহজ হয়ে যায়। মোহনবাগানের গোল সংখ্যা বাড়তেই পারতো আশিক কুরুনিয়ান সহজ গোল মিস না করলে বা ইভান গঞ্জালেজ গোললাইন সেভ না করলে! যাইহোক, আজকের জয়ের ফলে ফেরান্দোর মোহনবাগান যেমন এবারের ডুরান্ডে পরের পর্বের আশা জিইয়ে রাখলো,তেমনি ইস্টবেঙ্গলের বিদায় প্রায় নিশ্চিত! মোহনবাগান-১ সুমিত পাসি (আত্মঘাতী), ইস্টবেঙ্গল-০।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct