নিজস্ব প্রতিবেদক, নদিয়া, আপনজন: স্ত্রীকে দিয়ে স্ত্রীর প্রেমিককে বাড়িতে ডেকে এনে চারজনে মিলে প্রেমিকের দেহ ও মুন্ডু আলাদা করে কেটে খুন করল স্বামী। নদীয়ার ধুবুলিয়ার প্রহ্লাদ ঘোষ স্ত্রী নমিতা ঘোষ বেশ সুখে জীবন যাপন করছিলেন হঠাৎ এই গ্রামের বাবুসোনা ঘোষ এর সঙ্গে নমিতা দেবীর মধুর সম্পর্ক তৈরি হয়। এটা প্রহ্লাদ বাবু জানতে পারেন। জানার পর বারবার বারণ করা সত্ত্বেও বাবুসোনা ঘোষ রাজি হননি সেই সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে শেষ পর্যন্ত স্ত্রী নমিতা ঘোষকে দিয়ে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পীরপুরে নিজের বাড়িতে ডেকে আনে বাবুসোনাকে। প্রেমের টানে নমিতা দেবীর কোথায় চলে আসে বাবুসোনা। এরপর বাড়ির কাছে কলাবাগানে প্রহ্লাদ ঘোষ প্রসেনজিৎ ঘোষ, শঙ্কর ঘোষ এবং নমিতা ঘোষ মোট চারজন মিলে প্রথমে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে বাবুসোনার দেহ থেকে মুন্ডুটাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে আলাদা করে দেয়। এবং দেহটাকে মাথাভাঙ্গা নদীতে ফেলে দেয় মুন্ডুটাকে বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি আম বাগানে গর্তে পুঁতে রাখে। প্রমাণ লোপাট করতে দেহ থেকে জামা কাপড় খুলে আরও ২০০ মিটার দূরে পুতে দেয়। কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ তদন্ত নেমে প্রথমে প্রহ্লাদ ঘোষকে ধুবুলিয়া থেকে গ্রেফতার করে এবং তার স্ত্রী নমিতা ঘোষকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে আসে এবং পুলিশের জেরার স্বীকার করে নেয়।প্রথমে পুলিশ মুন্ডুটা উদ্ধার করে এরপর এলাকার ধৃত প্রহ্লাদকে নিয়ে মাথাভাঙ্গা নদীতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে দেহ উদ্ধার করার জন্য। এখনো পর্যন্ত বাবুসোনার দেহ তল্লাশি শুরু করলেও উদ্ধার করতে পারেনি। শুক্রবার রাত ভোর খোঁজা খুঁজি করলে মৃতদেহ উদ্ধার করে পারনি ধুবলিয়া থানার পুলিশ। শনিবার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর লোকজন নিয়ে নদীতে খোঁজ চলবে বলে জানা যায়। বাবুসোনার পরিবারের পক্ষ ধুবুলিয়া থানার নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। গ্রামের এক ব্যক্তির নাম অপহরণ অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ ও স্বামী স্ত্রী দুজন ধুবুলিয়া থানার পুলিশ জেরা করে দুজনে শিকার করে নেয়। তৃণমূল বুথ সভাপতিকে খুনের কথা স্বীকার করে নেন।চার জন মিলে খুন করছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলে বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct