মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া: একাধিকবার গঙ্গা ভাঙ্গনে সংবাদ শিরোনামে এসেছে। তবে তখন কেউ দেখতে না গেলেও, প্রচুর পরিমাণ বালির বস্তা ফেলার পরে অদ্ভুত এক সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যা দেখতে এ প্রজন্ম ভড়ি জমাচ্ছে। নদীয়া জেলার শান্তিপুরে গঙ্গার ভাঙ্গনের চর পরিণত হয়ে গেছে পর্যটক কেন্দ্রে। বিকাল হতেই গঙ্গা পারে বহু মানুষের আনাগোনা বসেছে বহু দোকান সাধ্যের মধ্যে সাধপূরণ ঢেউ ছাড়া পুরীর সি বীচ ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে।ঢেউ ছাড়া দীঘার সি বিচ চলুন ঘুরে আসি শান্তিপুর বিহারিয়া মঠ পাড়ায়। হঠাৎই মানুষের ভালো লাগা এবং তাদেরই প্রচারে অস্থায়ীভাবে প্রচারের আলোকে এই অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য তৈরি হয়েছেশান্তিপুর ব্লকের বেলঘড়িয়া দুই নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিহারিয়া মঠপাড়া এলাকায়,এর আগে একাধিকবার গঙ্গা ভাঙ্গনে সংবাদ শিরার নামে এসেছিলো তবে তখন কেউ দেখতে না গেলেও,প্রচুর পরিমাণ বালির বস্তা ফেলার পরে অদ্ভুত এক সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যা দেখতে এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা বিয়ে করছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই পোস্ট দেখে দূরের অনেকেই পাড়ি দিচ্ছে অস্থায়ী এই সি বিচ চাক্ষুষ করতে।
এই উপলক্ষে প্রায় ৮-১০ টি চা ফুচকা ফাস্টফুড আইসক্রিমের দোকান বসে বিকাল হলেই।আর তাতেই পাড়া ঘরের গৃহ বধূরা খুব খুশি। দোকানিরা জানাচ্ছেন বেচাকেনা ভালো হলেও, এলাকায় বাড়ি হওয়ার সুবাদে সন্ধ্যের পর কারেন্ট না থাকার পরেও কিছু ছেলে মেয়ে থাকার কারণে পরিবেশ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। অন্যদিকে সংখ্যায় খুব কম হলেও বেশ কিছু যুবকের নেশা সংক্রান্ত বিধি নিষেধ বানানোর জন্য নিয়মিত পুলিশ প্রশাসনের দাবি করেছেন এলাকার প্রবীণ মানুষরা। ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য বুদ্ধদেব সরকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পঞ্চায়েত এবং পুলিশি ঔদাসীনতায় আগামীতে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গ হতে পারে। তবে পর্যটক হিসেবে দিনের আলোর তে আসুক এবং তার মধ্যেই ফিরে যাক, সাথে সিভিক এবং পঞ্চায়েতের পর্যবেক্ষণ বাড়ুক। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান দীপক মন্ডল বলেন, আপাতত বালির বস্তায় খুব সুন্দর লাগছে, তবে ঘাস গজিয়ে তা ঢেকে গেলে তখন এতটা ভিড় হবে না। কিন্তু অনেকে মনে করছেন এই এলাকায় ভাগীরথীর বাঁক দীর্ঘদিন ধরেই সুন্দর, তাই স্থানীয় পর্যটকের ভিড় থাকবেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct