শান্তনু হক, আপনজন: রাজ্যের পশু-চিকিৎসকরা সাধারণ মেডিক্যাল বা হোমিওপ্যাথির মতো বেতন ও মর্যাদা পান। তবে অভিযোগ, ইন্টার্নশিপ ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ইন্টার্ন পশু-চিকিৎসকরা। বারবার বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কোনও সমাধান হচ্ছে না। তাই নায্য ভাতার দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন ইন্টার্ন পশু–চিকিৎসাকরা। বিগত ৮দিন ধরে আন্দোলন চলছে। রাজ্য প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিএসসি অ্যান্ড এএইচ কোর্সের পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিস বেলগাছিয়ায় আন্দোলন করছেন। দাবি না মানা হলে আরও বড় আন্দোলন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ইন্টার্নশিপ ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এমবিবিএস, বিডিএস, বিএএমএস ইন্টার্ন ডাক্তারদের প্রতিমাসে ২৮ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ৩ থেকে ৬ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ দেওয়া হয়। কিন্তু ভেটেনারি চিকিৎসকদের দেওয়া হয় মাত্র ৯০০০ টাকা। কোনও ডিএ দেওয়া হয় না। পড়ুয়াদের অভিযোগ, অনেকদিন থেকে তারা লিখিত এবং সশরীরে আবেদন করেছেন, তাতে কোনও সদর্থক সাড়া মেলেনি। তাই উপাচার্যের অফিসের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়েছে।
এ নিয়ে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের পক্ষে আলাউদ্দিন গাজী, আজহার আলী খান ও গাফফরুল বিশ্বাসরা বলেন, আমরা প্রাণী চিকিৎসা ও প্রাণীবিজ্ঞান অনুষদের বিভিএসসি অ্যান্ড এএইচ কোর্সে পড়াশোনা করি। সাড়ে পাঁচ বছরের মধ্যে এক বছর ইন্টার্নশিপ করতে হয়। এই সময়ে ছাত্রছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ভেটেনারি সেন্টার, চিড়িয়াখানা, ফার্ম ইত্যাদিতে যেতে হয়। ১২ মাসে ১২ জায়গায় যেতে হয়। এক মাস রাজ্যের বাইরে গিয়ে কাজ করতে হয়। এর জন্য কোনও টাকা দেওয়া হয় না। মেডিক্যালের অন্যান্য কোর্সের মতো সমান মর্যাদা থাকলেও আমাদের কম টাকা দেওয়া হয়। সাম্মানিক যাতে বাড়ানো হয় সেই দাবি জানাচ্ছি। আন্দোলনকারীদের আরও বক্তব্য, ইন্টার্নশিপের এক বছর নিজ খরচে যাতায়াত ও থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করতে হয়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী এমবিবিএস ডাক্তারদের মতো আমরাও এগুলোর হকদার। সরকারের কাছে দাবি- আমাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া হোক। তাদের আরও অভিযোগ, উপাচার্য ও রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের কাছে বারবার তদবির করা হলেও সমাধান করা হচ্ছে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct