জাহেদ মিস্ত্রী, বারুইপুর, আপনজন: মাত্র দশ দিনের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে মারা যায় চারজন। তারা হলেন, আব্দুল রাজ্জাক, জিয়াউল লস্কর, আকবর খান ও সাইদুল মুন্সি। এই মৃত্যুর পিছনে সংশোধনাগারে পুলিশি নৃশংসতার অভিযোগ আনা হয়েছে। স্বল্প কয়েক দিনের মধ্যে এভাবে জেল হেফাজতে চারজনের মৃত্যু হওয়ায় বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে চারজনের এই মৃত্যু নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়। বারুইপুর জেলা পুলিশের তরফে তাদের ফেসবুক পেজে ‘ভুয়ো খবর’ শিরোনামে বলা হয়, ‘একটি “ভুয়ো খবর” সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে যে বারুইপুর থানার মধ্যে চারজন মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বারুইপুর থানায় বা পুলিশের হেফাজতে এমন কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। অনুগ্রহ করে এইধরনের “ভুয়ো খবর” ছড়ানো/শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। যারা এই “ভুয়ো খবর” ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ বন্দি মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় মানবাধিকার সংস্থা গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি। একই সঙ্গে আইএসএফের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল নিহতদের পরিবারের সঙ্গে মঙ্গলবার দেখা করে তাদের ইনসাফের দাবি করেন।এই দোলাচলের মধ্যে সমাজকর্মী সাবির গফফার ও আইনজীবী আসফাক আহমেদ নিহতদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই্ বৈঠকে সাবির ও আসফাক ছাড়াও হাজির ছিলেন, আইনজীবী বিশ্বজিৎ প্রামাণিক, মুশারফ হোসেন, নিহত আকবর খানের স্ত্রী অঞ্জুমান বিবি, নিহত জিয়াউল লস্করের স্ত্রী মারুফা বিবি ও বোন সাবেরা বিবি, নিহত সাইদুল মুন্সির স্ত্রী রেশমা বিবি ও বোন সালমা বিবি, নিহত আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী সুহান বিবি ও বোন মারুফা খাতুন। তারা নিহতদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণ ও সরকারি চাকরির দাবি জানান সেই সঙ্গে দোষী পুলিশ অফিসারদের শাস্তির দাবি জানান। এ বিষয়ে সাবির গফফার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর আপনজন’কে বলেন, জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি জানিয়েছেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। তার নির্দেশে জেল হেফাজতে নিহতদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পরিবার পিছু একজনকে চাকরিও দেওয়া হবে। এছাড়া উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হবে। বৈঠক শেষে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের পরিবার পিছু ৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। এর ফলে রাজ্য প্রশাসনের তরফে বাস্তবে স্বীকার করে নেওয়া হল যে, সংশোধনাগারে হেফাজতে থাকাকালীন পুলিশি অত্যাচারেই ওই চারজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও তদন্তের আগে প্রকৃত দোষী নিরূপণ সম্ভব নয় বলে কারাগার সূত্রের দাবি। উল্লেখ্য, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে পৃথক পৃথক মামলায় এই চারজনকেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছিল। নিহত চারজনের পরিবার তাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে অভিযোগ করেছে এবং তাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। খোলাখুলিভাবে তাদের সন্দেহের কথা জানিয়েছেন। অভিযোগ করেছেন, তাদেকে মারাত্মকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে, এখনও পর্যন্ত কোনও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়া যায়নি বলে সূত্র জানিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে মারা যায় চারজন হলেন, আব্দুল রাজ্জাক, জিয়াউল লস্কর, আকবর খান ও সাইদুল মুন্সি। এই চারজনের পরিবারের কাছ থেকে সংবাদমাধ্যম যে তথ্য পেয়েছে তাতে ভয়ঙ্কর চিত্র ফুটে উঠেছে।
জিয়াউল লস্কর- সুভাষ পল্লির বাসিন্দা জিয়াউল লস্কর বারুইপুরে অটো চালাতেন। গত ২৫ জুলাই অটো চালিয়ে আর সেদিন বাড়ি ফেরেননি। ৩৫ বছর বয়সি জিয়াউল লস্করকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে তার পরিবার। তার পরিবারের লোকজন পরের দিন সকালে তাকে খুঁজতে বের হয়। তখন তারা জানতে পারে জিয়াউলকে ডাকাতি করার ষড়যন্ত্রের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। লস্করের পরিবার অভিযোগ করে, গ্রেফতারের দিন এবং তার পরের দিনও বারুইপুর থানার ভিতরে তাকে মারাত্মক নির্যাতন করা হয়। এর পরের দিন তাকে আদালতে তোলা হয়। সেখান থেকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। জিয়াউল লস্করের বড় বোন সাবেরা বিবি বলেন, মৃত্যুর তিন-চার দিন আগে সে আমার বৌদির সঙ্গে দেখা করেছিল। সাবেরা বলেন, অল্প সময়ের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তার বৌদি তাকে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, জিয়াউলকে পুলিশ ব্যাপক মারধর করেছে। সাবরোর বক্তব্য. পুলিশ যদি বলে যে আমার ভাই মাদক সেবন করেছে, আমি তা মেনে নেব। কিন্তু তার মানে কি তাকে এভাবে মারা উচিত? তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।জিয়াউলের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ১ আগস্ট তিনি মারা যান। তবে ২ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আদালতে সাবেরা বিবির প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী তনয় ভট্টাচার্যের জানিয়েছেন, জিয়াউল লস্করের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া আরও দুই ব্যক্তি সুরজিৎ হালদার ও রবিউল হালদার তাদের বলেছেন, পুলিশি নির্যাতনের কারণে লস্করের মৃত্যু হয়েছে। কয়েক দিন পরে পুলিশের হাতে আক্রান্ত হওয়া এবং বিচারবিভাগীয় হেফাজতে লস্করের মৃত্যুর কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেন ওই দু’জন। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) তাদের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। তারা বলেছিলেন বারুইপুর কারাগারে তাদের আটক করে রাখা হয়েছিল যেখানে নিহতদেরকেও রাখা হয়েছিল। তাই সেখানে পরিচ্ছন্ন তদন্ত হতে পারে না। এসিজেএম বারুইপুর সংশোধন কেন্দ্রের সুপারকে ৩ আগস্ট কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলেন এ কারণে যে জিয়াউলের পরিবারের কমপক্ষে দুই সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তদন্ত চালানোর নির্দেশ অমান্য করার জন্য।
আবদুল রাজ্জাক- দুই মেয়ের বাবা, ৩৪ বছর বয়সি আব্দুল রাজ্জাক একটি পোল্ট্রি ব্যবসা চালাতেন, যার জন্য তিনি প্রায়শই বিহার যেতেন। রাজ্জাকের স্ত্রী সুহানা বিবি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘গত ২৪ জুলাই সিভিল ড্রেসে চারজন লোক আমার বাড়িতে এসে রাজ্জাকের কথা জিজ্ঞেস করেন। পরদিন তাকে জেলে পাঠানো হয়। আমি ২৭ শে জুলাই তার সাথে দেখা করেছিলাম এবং তিনি পুরোপুরি স্বাভাবিক ছিলেন। কিন্তু ২৯ শে জুলাই দুপুর ১টার দিকে, একজন পুলিশ আমাদের বাড়িতে এসে আমাদের জানায় যে রাজ্জাকের অবস্থা গুরুতর এবং আমাদের হাসপাতালে যাওয়া দরকার। তা শোনার পর সুহানা ভেঙে পড়েন। তাই রাজ্জাকের চাচা সিরাজুল বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হন। সিরাজুলের দাবি, হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই রাজ্জাক মারা যান। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যে তিনি হাসপাতালের কর্মীদের পুলিশকে উত্তপ্ত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে শুনেছেন। তবে হাসপাতালের কর্মীরা পুলিশকর্মীদের ঠিক কী বলেছেন, তা তিনি শুনতে পাননি। এ নিযে সিরাজুল বলেন, আমরা ন্যায়বিচার চাই। আমি আইনের ওপর আস্থা রাখি, কিন্তু আমরা এই মামলা লড়তে পারি না। রাজ্জাকের কিশোরী কন্যা ও তার স্ত্রীর এখন কী হবে, কে তাদের দেখাশোনা করবে সে প্রশ্ন তোলেন সিরাজুল। তার লাশ দাফনের জন্য রিলিজ অর্ডার অনুযায়ী, রাজজাক ৩০ জুলাই দুপুর ১২টা ৪৮ মিনিটে মারা যান। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, রাজ্জাকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৯৯ এবং ৪০২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা ডাকাতির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ও গড়ো হওযার সাথে সম্পর্কিত। যদিও পুলিশ এই মামলার নির্দিষ্ট বিবরণ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। তবে এফআইআর-এ বলা হয়েছে যে ২৩ শে জুলাই, একটি সূত্র থেকে গোপন খবর পাওয়ার পরে, পুলিশ বারুইপুর বাইপাসের কাছে একটি নবনির্মিত প্রাচীরের পিছনে ১০ থেকে ১২ জনকে নিজেদের মধ্যে ফিসফিস করতে দেখেছিল। এফআইআরে বলা হয়নি যে পুলিশ তারা কী আলোচনা করেছে তা শুনেছিল। তবে পুলিশ রাজ্জাসহ আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে বলে অভিযোগ করেছে।
আকবর খান- আইনজীবী আসফাক আহমেদের মতে, অন্য একটি সন্দেহভাজন ডাকাতির মামলায় অভিযুক্ত আকবর খান বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকাকালীন ২ আগস্ট মারা যান। ওই আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আকবর খানের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তবে আকবর খানের স্ত্রী আঞ্জুহারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কথা বলার মতো অবস্থায় না থাকয় তার কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাইদুল মুন্সি- সাইদুল মুন্সির পরিবারের দাবি, ৩৩ বছরের সাইদুল মুন্সিকে গত ২৫ জুলাই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় মহেশতলা থানার পুলিশ। মুন্সির পরিবারের দাবি, গ্রেফতারের দিনই পুলিশের হাতে নিগৃহীত হন তিনি। একদিন পর তাকে বারুইপুর জেলে পাঠানো হয়। সাইদুলের বড় বোন সালমা বলেন, “গত ১ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও আমাদের পরিবারকে জানানো হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি ২ আগস্ট। পুলিশ যখন একটি নথিতে স্বাক্ষর নিতে এসেছিল তখন বাড়িতে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক ছিল না। নথিতে কী বলা হয়েছে তা আমরা জানি না। তবে পুলিশ আমার ছোট বোনকে সেই নথিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেছিল। সাইদুল চিকিৎসা না পেয়ে ৩ আগস্ট তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তারা তাকে এত নৃশংসভাবে ও লাগাতার মারধর করেছিল যে তার ফলে তার মৃত্যু হয়। তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা আমরা জানি না, কিন্তু কারাগারে থাকা অবস্থায় সে মারা যায় সেটা তো বস্তব সত্য। তার মুখে মারার চিহ্ন দেখলে চুপ করে থাকা যাবে না।
‘মুসলমানদের প্রতি আচরণের বিষয়’ মানবাধিকার সংস্থাঅ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটসের (এপিডিআর) সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত সুর সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, বাংলার প্রতিটি রাজনৈতিক দল কলকাতায় একটি ছেলের পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে সোচ্চার হচ্ছে। কিন্তু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের চারজন পুরুষ একই ধরনের মামলায় অভিযুক্ত এবং বারুইপুর জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে একের পর এক মারা যান। যদিও কোনও দলই এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়নি। এটা খুবই উদ্বেগজনক। আমরা মনে করি, এসব মামলার নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত। দক্ষিণ ২৪ পরগনা পুলিশের এমন উচ্ছৃঙ্খলতার জন্য বদনাম আছে। বিশেষ করে দলিত ও মুসলমানদের প্রতি যে আচরণ করা হচ্ছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” এপিডিআর স্বাধীনভাবে চারটি মামলা খতিয়ে দেখার এবং তাদের উপর একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গেছে, গত ৭ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা আসফাক আহমেদের নেতৃত্বে আইনজীবীদের একটি দল ওই চার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের আইনি সহায়তার প্রস্তাব দেয়। আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, চারটি মামলা একে অপরের অনুরূপ বলে মনে হচ্ছে। তাই একটি স্বাধীন তদন্তের জন্য একত্রিত করা উচিত। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এই চারজনকে পৃথক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং এর আগে তাদের বিরুদ্ধে মাদকের লেনদেনের জন্য ফৌজদারি মামলা ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্জাক ও জিয়াউল মাদকসেবী ও ক্রেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একটি সূত্র দাবি করেছে, “পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়।এটা নিছকই কাকতালীয় যে, ওই চার জনের মৃত্যু হয়েছে একের পর এক। আমরা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার জন্য অপেক্ষা করছি যাতে আরও তদন্ত করা যায়।” তবে, মঙ্গলবার দক্সিণ ২৪ পরগণার সঙ্গে নিহতের পরিবারের সদস্যদের বৈঠকের পর পরিবারের লোকজন আশা করছেন তারা ইনসাফ পাবেন। তারা ইতিমধ্যে ক্ষতিপূরণের চেক হাতে পেলেও তাদেরকে চাকরি দেওয়া হবে বলে সরকারি আশ্বাসে তারা আপাতত সন্তুষ্ট। সেই সঙ্গে তারা তাকিয়ে রয়েছেন প্রশাসনের তদন্তের নির্দেশে প্রতি। নিহতদের পরিবারের সকলের বক্তব্য, প্রকৃত দোষী পুলিশকে চিহ্নিত করে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। তাদের আশা অচিরেই এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে। আর তখনই তারা ইনসাফ পাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct