রাজু আনসারী, অরঙ্গাবাদ, আপনজন: দশদিন আগেও মেশিনের তৈরী মুড়ির দাম ছিলো ৪০ টাকা কেজি। কিন্তু সম্প্রতি জিএসটি লাগু হওয়ার পর মুহূর্তেই সেই মুড়ির দাম বেড়ে হয়েছে এখন ৫৫ টাকা কেজি! হঠাৎ কেজি প্রতি ১২ থেকে ১৫ টাকা মুড়ির দাম বৃদ্ধিতে বেকায়দায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। শুধু মুড়িতেই নয়, আটার দামও কেজি প্রতি বেড়েছে ১২ টাকা! আয়ের উৎস না বাড়লেও খরচের বাহার বৃদ্ধিতে কার্যত সংসার চালাতে হিমশিম অবস্থা সাধারণ মানুষের। মুড়ি ব্যবসায়ীদের দাবি, সম্প্রতি চালের দাম অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে স্বাভাবিক কারনেই তার প্রভাব পড়েছে মুড়িতে। অন্যদিকে মুড়ির দাম বৃদ্ধির ফলে তুলনামূলক ভাবে বেকায়দায় পড়েছেন মুদিখানা দোকানদাররা। দাম বাড়ার ফলে মুড়ি বিক্রি তুলনামূলক কমেছে বলেই দাবি তাদের। শুধু তাই নয়, যেভাবে হঠাৎ করে অত্যাধিক হারে মুড়ির দাম বেড়েছে তাতে দোকানে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। বেকায়দায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে বিড়ি শ্রমিক ও রাজমিস্ত্রী অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ-সুতি এলাকার মানুষের প্রশ্ন, বিড়ির মজুরী কিংবা শ্রমিকদের পারিশ্রমিক না বাড়লেও হঠাৎ কেজি প্রতি ১২ থেকে ১৫ টাকা মুড়ির দাম কেন বাড়ানো হলো? এভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকলে কিভাবে সংসার চালাবেন তারা তা নিয়েও কার্যত প্রশ্ন তুলে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে শ্রমিকদের। অবিলম্বে মুড়ি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দামে লাগাম না টানলে আগামীদিনে সংসার পরিচালনা কিংবা জীবন জীবিকা নির্বাহে হুমকির মুখে পড়তে হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আমজনতা। সামসেরগঞ্জের এক মুদি দোকানদার এনামুল হক জানান, হঠাৎ করে এভাবে মুড়ির দাম বৃদ্ধিতে আমজনতার ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন। মানুষের ইনকাম নাই, অথচ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তেই আছে। কিভাবে সংসার চালাবো আমরা? কেজি প্রতি ১২ থেকে ১৫ টাকা মুড়ির দাম বৃদ্ধি এটা কোন যুক্তি র? অবিলম্বে মুড়ির দাম নিয়ন্ত্রণ করার দাবি জানান তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct