আপনজন ডেস্ক: হাঁটু ব্যথা সারা পৃথিবীতে অনেক মানুষের সমস্যা। প্রত্যেকের ঘরে বৃদ্ধরা কমবেশি এই সমস্যায় ভোগেন।আসলে হাঁটু আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জয়েন্ট। আমাদের পুরো শরীরের উপরিভাগের ওজন অভিকর্ষের টানে মাটিতে স্থানান্তরের একমাত্র মাধ্যম এই দুই হাঁটু।এর সাথে যদি মাথায় বা কাঁধে কোন বোঝা নেওয়া হয় তাও এর সাথে যুক্ত হয়। এ কারণে হাঁটু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এ কারণে শরীরের সব থেকে শক্তিশালী জয়েন্ট হিসেবে এর দুটি অংশ রয়ে গেছে। আমাদের শরীরের যে কোনো অংশে ব্যথার জন্য চারটি বিষয় জড়িত। মাংশপেশি, লিগামেন্টস, হাড় ও স্নায়ুতে ইনজুরি বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। এখানেও এর ব্যাতিক্রম নয়। শরীরের সব থেকে বড় দুটি হাড় বেশ কিছু মাংসপেশি ও লিগামেন্টস এই শক্তিশালী জয়েন্টকে নিয়ন্ত্রণ করে। লিগামেন্টসগুলোর মধ্যে কিছু ভেতরের দিকে কিছু বাইরের দিকে থাকে। যে কারণে হাঁটু ব্যথা হতে পারে। আঘাত হাঁটু ব্যথার অন্যতম একটি কারণ। যে কোনো বয়েসেই আঘাতজনিত ব্যথা হতে পারে। আঘাতের মাধ্যমে হাঁটু নিয়ন্ত্রণকারী মাংসপেশি, লিগামেন্টস, হাড় ও স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে সকল কারণে আঘাতজনিত কারণে হাঁটু ব্যথা হতে পারে। হাঁটতে গিয়ে ব্যথায় ককিয়ে ওঠা। এছাড়া হাঁটুর ব্যাথা আসতে পারে ওস্টিও আরথ্রাইটিস, রিউম্যটয়েড আরথ্রাইটিস, বাত এবং জয়েন্টে ইনফেকশন থেকে। এগুলি থেকে সেরে উঠতে ব্যায়াম উপকারী। রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রে হাড়ের সংযোগস্থলের আস্তরণের ক্ষতি হয় ও ব্যথা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় ফুলে যায়। যার ফলে হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে ও হাড়ের গঠনে বিকৃতি দেখা দেয়। রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার (Autoimmune Disorder), কারণ এই রোগের ফলে প্রতিরোধকারী কোষগুলো ভুলক্রমে শরীরের টিস্যুগুলোকে আক্রমণ করে থাকে। হাড়ের সংযোগস্থল ছাড়াও এ রোগ দেহের অন্যান্য অঙ্গ যেমন ত্বক, চোখ, ফুসফুস ও রক্তনালীরও ক্ষতি করে থাকে। রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস যে কোনো বয়সেই হতে পারে। তবে এটি ৪০ বছর বয়সের পর বেশি হয়। নারীরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। চিকিৎসার সাহায্যে এ রোগের লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং হাড়ের সংযোগস্থল নষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করা যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct