এহসানুল হক, বসিরহাট, আপনজন: ছোট্ট বাচ্চা রিতিকা, ছোট থেকেই তার ইচ্ছা ক্যারাটে শিখবে। তার আবদার শুনেই মা-বাবা ভর্তি করে দিয়েছিল ক্যারাটে স্কুলে। দুই বছর জিতে না যেতেই সাফল্যের মুখ দেখল টাকি পৌরসভার বাসিন্দা রিতিকা। সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সমাপ্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন বয়সীদের এই ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় বিশ্বের প্রায় নয়টি দেশ অংশগ্রহণ করে। নয়টি দেশের পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন বয়সীরা এই ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ছয় বছরের নিচে ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে হাসনাবাদের ছোট্ট বাচ্চা ঋতিকা নাথ। ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় বিশ্বের নয়টি দেশকে হারিয়ে হাসনাবাদের রিতিকা নাথ সোনা ও ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। বিশ্বের ৮ টি দেশকে হারিয়ে এই ছোট্ট রিতিকা সোনা ও রুপো যেতায় খুশি হাসনাবাদের মানুষেরা। এই পদক পাওয়ার পরেই টাকি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজী ও চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে রিতিকাকে দেওয়া হয় বিশেষ সমবর্ধনা। এদিন তাকে টাকি পৌরসভায় ডেকে তার হাতে ফুল মিষ্টি ও কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়।তুলে দেন টাকি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজী। পাশাপাশি ওই ছোট্ট রিতিকার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি, আরো বলেন এটা টাকি মানুষের গর্ব, ছোট্ট রিতিকা টাকির মানুষের মুখ উজ্জ্বল করেছে, আর সেই ছোট্ট রিতিকার পাশে রয়েছি তার পরিবারের পাশেও রয়েছি। আমরা চাই রিতিকা আরো ভালো খেলে ভালো জায়গায় পৌঁছে যাক দেশের মান উজ্জ্বল করুক। এদিন তার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল পুলিশের কাজ করব কিন্তু সময়ের সুযোগের অভাবে হয়ে ওঠেনি সেই পুলিশের কাজ করা। কিন্তু আমার মনে জেদ ছিল আমার কোন সন্তান হলেই পুলিশ নতুবা ক্যারাটে তে প্রশিক্ষণ দেওয়াবো। সেই কথা মাথায় রেখে টাকি পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct