রঙ্গিলা খাতুন, কান্দি, আপনজন: আগামী ছ মাসের মধ্যে পশ্চিমবাংলা আরও সাতটি নতুন জেলা পাচ্ছে। রাজ্যের প্রশাসনিক কাজকর্ম যাতে দ্রুত ও সুষ্ঠভাবে সমাধা করা যায় সেই লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার নবান্নে ঘোষণা করেন রাজ্যে নতুন আরও সাতটি জেলা হবে। সোমবার নবান্ন থেকে এ কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ছ’মাসের মধ্যেই রাজ্যে জেলার সংখ্যা বেড়ে হবে ৩০। এখন পশ্চিমবাংলায় জেলার সংখ্যা ২৩— আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, বীরভূম, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, হুগলি, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, কালিম্পং, কলকাতা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান এবং পুরুলিয়া। নতুন জেলাগুলির নামও সোমবার ঘোষণা করেছেন মু্খ্যমন্ত্রী।তাঁর ঘোষণার প্রথমেই ছিল সুন্দরবন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ভেঙে তৈরি হবে নতুন এই জেলাটি।দ্বিতীয় জেলা ইছামতী।উত্তর ২৪ পরগনা ভেঙে হচ্ছে ইছামতী। মূলত বনগাঁ মহকুমাকে নিয়েই এই নতুন জেলা। তৃতীয় নতুন জেলা বসিরহাট। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট নিয়ে হচ্ছে এই জেলা। চতুর্থ জেলা রানাঘাট।নদিয়া ভেঙে হচ্ছে নতুন রানাঘাট জেলা। পঞ্চম জেলা বিষ্ণুপুর। বাঁকুড়া ভেঙে তৈরি হচ্ছে এই বিষ্ণুপুর জেলা।ষষ্ঠ জেলা কান্দি। মুর্শিদাবাদ ভেঙে তৈরি হবে জঙ্গিপুর ও বহরমপুর। তবে মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদ জেলায় নতুন দুটি জেলা নিয়ে দুবার দুরকম কথা বলায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে বলেন, মুর্শিদাবাদে মুর্শিদাবাদ জেলা আছে, বহরমপুর, জঙ্গিপুর হবে।.
এরপর আবার বলেন “মুর্শিদাবাদ জেলা কান্দি জেলা আর হচ্ছে বহরমপুর জেলা।’ ফলে বিষয়টি পরিষ্কার নয় মুর্শিদাবাদ ভেঙে নতুন যেদুটি জেলা হচ্ছে তা কান্দি আর বহরমপুর না বহরমপুর আর জঙ্গিপুর। যদিও আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী সোমবার নবান্ন থেকে ঘোষণা করেন। কিন্তু মুর্শিদাবাদ জেলায় নতুন দুটি জেলার নামকরণ নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া জোর চর্চা করছেন মুর্শিদাবাদবাসীরা। তাদের দাবি নতুন দুটি জেলার নাম রাখা হোক উত্তর মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct