সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সিবিআই তদন্ত চলার মধ্যেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ঘোষণা করলেন, এখন শিক্ষক নিয়োগে কোনও বাধা নেই। পুজোর আগেই এসএসসি-তে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। সোমবার নিয়োগ নিয়ে এসএসসি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। তারপরই সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, ‘নতুন নিয়োগ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তবে শুধু সহানুভূতি দিয়ে হবে না, আইনটাও জানতে হবে। বেআইনিভাবে কিছু করতে চাই না। বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুজোর আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করার ভাবনা। ২১ হাজার শিক্ষক ও প্রধানশিক্ষকের শূন্য পদে পুজোর আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাবে।’ ৮ তারিখ এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি পার্থ ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পরই আসরে নামেন অভিষেক । প্রথমে ফোন করে কথা বলেন এসএসসি আন্দোলনকারী নেতা সইদুলের সঙ্গে। তার পরদিন কথা বলেন এসএসসি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। এসএসসি আন্দোলনকারীদের ‘নিয়োগ সুনিশ্চিত’ করার আশ্বাস দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে এসএসসি আন্দোলনকারীরা জানান, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই আলোচনা সম্পূর্ণরূপে ইতিবাচক। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেধাতালিকা অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেক পদপ্রার্থীর নিয়োগ সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতা কাটিয়ে নিয়োগের চেষ্টা করবেন। এ বিষয়ে আমাদের সম্পূর্ণরূপে আশস্ত করলেন।’যদিও অভিষেকের এই আসরে নামাকে মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না বিরোধী বাম শিবির। তীব্র কটাক্ষে আঘাত হেনেছেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘যারা দুর্নীতির মধ্যে রাজনীতি করেন, তারা দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ করবেন কী করে? এটা আরেকটা দুর্নীতির পদক্ষেপ। অভিষেক এতদিন পর চেষ্টা করছেন? কেন? পার্থ ধরা পড়ার পরে? আমার সাদা কাগজে চ্যালেঞ্জ, ওরা সরে যাক, মেধাভিত্তিক নিয়োগ করতে বেশিক্ষণ সময় লাগবে না।’ পাল্টা কুণাল ঘোষ তোপ দাগেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিরোধীরা চায় না এসএসসির জট খুলুক। তাই তাদের মুখোশ খুলে যাচ্ছে। বিরোধীদের পাল্টা বক্তব্য, কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই নিয়ে বৈঠকে বসলেন? তিনি কে? যার পরিপ্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ আবার পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, দুঃখ হচ্ছে নাকি? সবাই জানেন একটা জট হয়েছে। সেটা যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খোলার চেষ্টা করতে থাকেন তাতে কি কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপির দুঃখ হচ্ছে?
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct