সম্প্রীতি মোল্লা, কলকাতা, আপনজন: প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস বর্ণিত বাগদার 'সত্ রঞ্জন' কে ইতিমধ্যেই জেনে গেছে বাংলা। অভিযোগ, লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দেবেন বলে। না দিতে পেরে আবার টাকা ফিরিয়েও দিয়েছিলেন। তাই তাঁর সততা নিয়ে কেউ 'প্রশ্ন' তুলতে পারেননি ।এই রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল কলকাতা হাইকোর্টে এসে হাজিরাও দিয়ে গিয়েছেন। তাঁর বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিযান চালিয়েছে।এর মধ্যেই প্রাথমিক নিয়োগে দুর্নীতি মামলা নতুন মোড় নিল। সন্ধান মিলল আরও এক রঞ্জনের । যিনি আবার বাগদার ভদ্রলোকের মতো সত্ নন। অর্থাত্ টাকা তুলেছেন চাকরি দেবেন বলে। চাকরি হয়নি। কিন্তু টাকাও ফেরত দেননি। তিনি আবার চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে সোনাও নাকি নিতেন।শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। তিনজনই নদিয়ার বাসিন্দা। তাঁদের অভিযোগ, -' সুমন চট্টোপাধ্যায় বলে এক ব্যক্তি চাকরির স্কিম নিয়ে ঘুরে ঘুরে টাকা তুলেছিলেন। কী স্কিম? মামলাকারীদের দাবি -' তিনি বলতেন, টাকা দিলেই চাকরি গ্যারান্টি।
চাকরি না পেলে ডবল টাকা ফেরত!' সেসময় অনেকেই লোভে সেই স্কিমে নাম লিখিয়েছিলেন চাকরি পাবার আশায়। টাকা দিয়েও চাকরি পাননি বলে এদিন আদালতে জানিয়েছেন তাঁরা। ডবল টাকা তো দূরের কথা, আসল টাকাটা ফেরত পাননি অনেকেই।মামলাকারীদের একজন হলেন শিখা বিশ্বাস। তাঁর মেয়ে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। মেয়েটার চিকিত্সার জন্যই চাকরিটা জরুরি ছিল বলে জানিয়েছেন শিখা। তাই সঞ্চিত ৭ লক্ষ টাকা রঞ্জন (সুমনের) স্কিমে ঢেলে দিয়েছিলেন চাকরির আশায়। কিন্তু সেই সুমন আর টাকা ফেরত দেননি। সুপর্ণা দাস নামের এক মহিলা মামলা দায়ের করেছেন। তিনি ছেলের জন্য চাকরির জন্য সাড়ে চার লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন সুমনকে।মামলাকারীরা জানিয়েছেন, এই সুমন নিজেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করতেন। পার্থবাবুর দুই আপ্তসহায়ক সুকান্ত আচার্য ও দীপেন্দু বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা বলে নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছিলেন সুমন।এই মামলা গ্রহণ করেছেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। খুব তাড়াতাড়ি এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct