সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম, আপনজন: বীরভূমের খয়রাসোল ব্লক এলাকার মধ্যবর্তী জায়গা হিসেবে স্থানীয় খয়রাসোলের বুকে অবস্থিত রয়েছে খয়রাসোল উপ ডাকঘর।ব্লক স্তরের সমস্ত অফিস,খয়রাশোল থানা সহ বিভিন্ন ধরনের অফিস থাকার সুবাদে বহু মানুষের যাতায়াত রয়েছে খয়রাসোলে।সেই হিসেবে উপ ডাকঘরে গ্রাহকদের সংখ্যা ও বেড়েই চলেছে কিন্তু পরিকাঠামো গত ও পরিষেবা সংক্রান্ত নানা সমস্যায় জর্জরিত, যার পরিপ্রেক্ষিতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে গ্রাহকদের। এখানে গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৮৪ হাজার। খয়রাশোল ব্লকের দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত সহ পার্শ্ববর্তী ঝাড়খন্ড রাজ্যের ও বহু ব্যাক্তি এখানে গ্রাহক হিসেবে যুক্ত। উপ ডাকঘর টিকে ঘিরে নানা সমস্যার কথা গণস্বাক্ষর সহকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোন সুরাহা মেলেনি, সমস্যা যে তিমিরে ছিল সেখানেই দাড়িয়ে।দেখা যায় খয়রাশোল পঞ্চায়েতের ময়নাডাল গ্রামের কল্যাণ মিত্র ঠাকুর, হজরতপুর অঞ্চলের সাহাপুর গ্রামের সরোজ ঘোষ, সজল কান্তি সাঁতরা সহ আগত সমস্ত গ্রাহকদের একই অভিযোগ যে,উপ ডাকঘরে কর্মীর অভাব,বসে থাকা তো দূরের কথা ঠিক মতো লাইনে দাড়ানো জায়গার অভাব,শৌচাগার,পানীয়জল ইত্যাদির সমস্যা।তাদের আরো অভিযোগ যে প্রয়োজনের সময় টাকা তোলা যায়না কখনো ইন্টারনেট পরিষেবা নেই তো কখনো বিদ্যুৎ নেই, অথচ পাশেই গৃহবন্দী অবস্থায় জেনারেটর থাকলেও তা দীর্ঘদিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বিশেষ করে দীর্ঘ কয়েক মাস যাবত চেক বই না থাকার জন্য কিষান বিকাশ পত্র, এন এস সি, এম আই এস সহ বিভিন্ন প্রকল্পে রাখা টাকা তোলা বা কোন কাজ হচ্ছে না বলেও অভিযোগ।রূপুষপুর অঞ্চলের ছোড়া গ্রাম থেকে আগত বিপদ মন্ডল, কাঁকরতলা থানা এলাকার বিশ্বনাথ দত্ত এই রকম বহু মানুষ উপ ডাকঘরে পরিষেবা না পেয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে প্রায়ই। তাদেরও অভিযোগ চেক বই না থাকায় এমআইএস সংক্রান্ত টাকা তোলা যাচ্ছে না । উল্লেখ্য এখানে প্রায় এক কোটি টাকার লেনদেন চলে তা সত্ত্বেও উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ ঠিকমতো পরিষেবা প্রদানের বিষয়ে উদাসীন। সেই সাথে পোস্টাল এজেন্টরা ও তিতি বিরক্ত হয়ে পড়েছে। খয়রাশোল উপ ডাকঘরের দায়িত্বে থাকা পোস্টমাস্টার প্রসেনজিৎ ঘোষ সমস্যার কথা স্বীকার করেন, বলেন চেক বই শুধু এখানেই নয়, জেলা ব্যাপী একই সমস্যা। আমরাও অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করছি পরিষেবা ঠিক রাখার জন্য।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct