সম্প্রীতি মোল্লা, কলকাতা, আপনজন: সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে দমকল বিভাগে নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি চলে। দমকলের ফায়ার অপারেটর পদে নিয়োগে বেনিয়ম মামলায় পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন হাইকোর্টে হলফনামা জমা করতে ফের অতিরিক্ত সময় চেয়েছিল পিএসসি।এজন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানার শর্তে অতিরিক্ত সময় দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।দমকল বিভাগে নিয়োগ সংক্রান্ত ইস্যুতে তথ্য চাওয়া হয়েছিল তাদের কাছে, কিন্তু তথ্য জমা দিতে আরও দু’সপ্তাহ সময় চেয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন। এই সময় চাওয়ায় পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে ১০ হাজার টাকার জরিমানা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে । তিন সপ্তাহ পর এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে । পাশাপাশি এও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, -’এই সময়ের মধ্যে কোনও নিয়োগ করা যাবে না।দমকলের ফায়ার অপারেটর পদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ আগেই দিয়েছিল আদালত। প্রায় দেড় হাজার শূন্যপদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। মামলাকারীদের অভিযোগ, -’ সংরক্ষণ, খেলোয়াড় কোটায় বিশেষ সংরক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিশেষ শংসাপত্রকে মান্যতা না দিয়েই মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়’। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কর্মপ্রার্থীরা প্রথমে স্যাটের-এর দ্বারস্থ হয়েছিলেন । স্যাট এই মামলা খারিজ করে দিলে, স্যাট-এর রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন একাংশ চাকরি প্রার্থীরা। গত ২০১৮ সালে অগ্নিনির্বাপণ বিভাগে ফায়ার অপারেটর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। ২০১৯ সালে লিখিত পরীক্ষা হয় তবে পরে অভিযোগ উঠতে থাকে যে প্রশ্নে ভুল ছিল। তাই ফলপ্রকাশের পর থেকেই একাধিক সমস্যা বাড়তে থাকে। এদিন আদালত জানায় পিএসসির জরিমানা প্রসঙ্গে , -’রাজ্য লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে এই টাকা জমা দিতে হবে’।তিন সপ্তাহ পর এই মামলার শুনানি রয়েছে । হাইকোর্ট এর এও নির্দেশ ,-’ ততদিন পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে’।২০১৮ সালে দমকলের দেড় হাজার অপারেটর নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়েছিল। তারপর প্যানেল করে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর মুখেই মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে।চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের অভিযোগ, -’ জেনারেল পরীক্ষার্থীদের সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে । আবার বেশ কিছু ভুল প্রশ্নও ছিল যার নম্বর দেওয়া হয়নি’। এ ব্যাপারে প্রথমে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। স্যাটের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আসে মামলা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct