সম্প্রীতি মোল্লা , কলকাতা, আপনজন: সোমবার ব্যক্তিগত কারণে শ্মশান দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। প্রসঙ্গত, এই মামলায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারীর নাম জড়িয়েছে। এদিন এদিন এজলাসে এই মামলা থেকেই সরে দাঁড়ানোর কথা জানালেন বিচারপতি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েই সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি বলে জানা গেছে। পুরসভার চেয়ারম্যান পদে থাকাকালীন পুরসভার কাছেই কাঁথির শ্মশানের জমিতে কিছু স্টল নির্মাণ করেছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী। কয়েক কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে।শুধুমাত্র শ্মশান দুর্নীতির মামলা নয়, অধিকারী পরিবারের আরও একটি মামলা থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। এই মামলাটি বাতিস্তম্ভ সংক্রান্ত।আদালত সুত্রে প্রকাশ, এবার ওই দুই মামলা প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে যাবে। তারপর জানানো হবে পরবর্তী কোন বেঞ্চে যাবে এই মামলাগুলি। কাঁথিতে স্টল নির্মাণের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারের নামও জড়ায় এই মামলায়। বর্তমান পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। চলতি বছরের ২৯ জুন কাঁথি থানায় এই সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। ঠিকাদার সতিনাথ দাস অধিকারী ও কাঁথি পুরসভার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ বেরাকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় থানার পুলিশ।সম্প্রতি এই দুর্নীতি মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে সৌমেন্দু অধিকারীর গাড়ির চালক গোপাল সিং-কে। তিনি কাঁথি শহরের আঠিলাগড়ি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্নার দাবি,-' যে জমিতে স্টল বানানো হয়েছে, তার চরিত্র বদলের জন্য কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি পুরসভার তরফে। এমনকি কোনও বৈঠকও হয়নি'। আরও অভিযোগ, - প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান ন দোকান বানিয়ে দেওয়ার নাম করে ব্যক্তিগত ভাবে প্রায় এক কোটি নিয়েছেন দোকান মালিকদের কাছ থেকে। সেই টাকা কারও পকেটে গেছে? নাকি পুরসভার কোষাগারে? তা নিয়ে যত বিতর্ক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct