আপনজন ডেস্ক: টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে সিরিজেও ভারতের কাছে ধরাশায়ী হওয়ার দ্বারপ্রান্তে ইংল্যান্ড। ওভালে ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত ইংলিশরা আজ লর্ডসে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামছে। সিরিজ বাঁচাতে জয়ই একমাত্র পথ। লর্ডসে ভারতীয় পেসারদের সামলানোর পথ কি খুঁজে পাবেন ইংলিশরা? ২০১৪ সালে শেষবার ইংল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল ভারত। সেবার স্বাগতিকদের ৫ ম্যাচ সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে হারায় তারা। ২০১৮তে সর্বশেষ ইংল্যান্ড সফরে অবশ্য ২-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল ভারত। ওই সিরিজে প্রথম ম্যাচ হেরেও পরের দুটিতে জিতেছিল ইংল্যান্ড। এজবাস্টন টেস্টে দুর্দান্ত জয়ের পর সাদা বলের ক্রিকেটে ছন্নছাড়া এক ইংল্যান্ড দলকে দেখছে বিশ্ব। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতের কাছে ২-১তে হেরেছে বাটলারের দল। তৃতীয় ম্যাচে হার এড়িয়ে কেবল হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ায় ইংলিশরা। প্রথম দুটিতে ইংল্যান্ডকে স্রেফ উড়িয়ে দেয় ভারত।
সফরকারী পেসারদের সামনে দাঁড়তেই পারেনি রয়-বাটলারদের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫০ হারে পরাজিত হয় ইংল্যান্ড। তাদের ১০ উইকেটের ৮টিই ভাগভাগি করেন ভারতের চার পেসার হার্ডিক পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার, আর্শদ্বীপ সিং ও হর্শল প্যাটেল। পান্ডিয়া একাই নেন ৪ উইকেট। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪৯ রানে হারে ইংল্যান্ড। এবারও ইংল্যান্ডের ১০ উইকেটের ৮টি গেছে ভারতের পেসারদের পকেটে। ভুবনেশ্বর কুমার ৩টি, একাদশে ফেরা জসপ্রিত বুমরাহর শিকার ২ উইকেট। একটি করে নেন হার্ডিক পান্ডিয়া ও হর্শল প্যাটেল। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিতে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেয় ইংল্যান্ড। তবে ওয়ানডে সিরিজের শুরুটা হয়েছে দুঃস্বপ্নের মতো। আগে ব্যাট করে মাত্র ১১০ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। বুমরাহ একাই ৬ উইকেট নেন। শামি ৩টি এবার হর্শল প্যাটেলের শিকার এক উইকেট। ইংল্যান্ড ১০ উইকেটে হেরেছে ম্যাচে। ঘরের মাঠে উইকেটের ব্যবধানে এটা সবচেয়ে বড় হার তাদের। আর ঘরে-বাইরে মিলিয়ে গত ১১ বছরে সবচেয়ে বাজে পরাজয়।
টেস্টকে টি-টোয়েন্টি বানিয়ে টানা ৪টি ম্যাচ জিতে প্রশংসা কুড়িয়েছে ইংল্যান্ড। সাদা বলে কেন এই দুর্দশা তাদের? ভালো পেস অ্যাটাকের সামনে যেন দাঁড়াতেই পারছে না ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার। টেস্ট কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম মনে করেন, অনেক বিষয় আছে যেগুলোয় উন্নতির প্রয়োজন ইংল্যান্ডের। সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইন আপাতত প্যানিক হওয়ার কিছু দেখছেন না। কিছুদিন আগেই সাদা বলের কোচ বদলেছে ইংল্যান্ড। ম্যানেজমেন্ট এবং অধিনায়কত্বেও এসেছে পরিবর্তন। সাত বছর পর নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলছে ইংলিশরা। একাদশে বেশ কয়েকজন নতুন খেলোয়াড়কে নেয়া হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাওয়া ইংল্যান্ডের সাদা বলে স্বরূপে ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করেন নাসের হুসেইন। ২৫০ ছক্কার মাইফলক রোহিতের ভারতের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ২৫০ ছক্কা হাঁকানোর নজির গড়লেন ওপেনার রোহিত শর্মা। ভারতীয় অধিনায়ক মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৫৮ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন। ছক্কা হাঁকান ৫টি। এতেই ছুঁয়ে ফেলেন ২৫০ ছক্কার মাইলফলক। ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ৩৫১ ছক্কা হাঁকিয়েছেন পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি। ৩৩১ ছক্কা নিয়ে আফ্রিদির পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল। শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়সুরিয়া ২৭০ ছক্কায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। চার নম্বরে রোহিত শর্মা। ভারতের সাবেক অধিনায়ক এমএস ধোনি হাঁকান ২২৯ ছক্কা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct