দেবাশীষ পাল, মালদা, আপনজন: কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চানন্দপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজে প্রায় এক কোটি টাকার বেনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠল। ১৬-১৭ জন ঠিকাদার স্বাক্ষর করে প্রধানের বিরুদ্ধে স্হানীয় বিডিওর কাছে এই অভিযোগের কথা লিখিত আকারে জানিয়েছেন। একদল ঠিকাদার তাদের লিখিত অভিযোগের প্রতিলিপি জেলাশাসক সহ প্রশাসনের বেশ কিছু বিভাগে জানিয়েছেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিডিও তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। ঠিকাদারদের অভিযোগ, বেআইনিভাবে নিজেদের পরিচিতদের দরপত্র বিক্রি করা হয়েছে। এমনকী স্থানীয় ঠিকাদারদের না দিয়ে আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে এমনই গুরুতর অভিযোগ জানান। অভিযোগের আঙুল কালিয়াচক-২ ব্লকের পঞ্চানন্দপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। গত ২৪ জুন টেন্ডারের আবেদন করার কথা জানালে ওই দিন স্থানীয় কোনও ঠিকাদারকে দরপত্র দেওয়া হয় নি। যোগ্য ঠিকাদারদের বঞ্চিত করার ও অভিযোগে বলা হয়েছে। টেন্ডারের নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গোটা প্রক্রিয়াটা সম্পূর্ণ বেনিয়ম হয়েছে। টেন্ডারের দরপত্র আহ্বান করা হলেও এলাকার সকল এলাকার ঠিকাদারদের টেন্ডার ফর্ম দিচ্ছে না। পঞ্চায়েতের সমস্ত কাজ নিজেদের পরিচিত জনদের কাছে ভাগ করে নিচ্ছে। এই মর্মে ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
মোথাবাড়ি ঠিকাদার যুধিষ্ঠির রবিদাস, হিমাংশু শেখর ঘোষ প্রমুখরা জানিয়েছেন “এই পঞ্চায়েতে সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে কাজ হচ্ছে। কোটি কোটি টাকার কাজের টেন্ডারে ব্যাপক দুর্নীতি ও হচ্ছে। যে কোন কাজ নিজেদের পছন্দের লোককে পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোনরকম আমাদের গুরুত্ব নেই। আমরা ১৭ / ১৮ জন ঠিকাদার পঞ্চায়েতে গিয়ে ফর্ম কিনে ও পাইনি। গোটা বিষয়টা বিডিওকে জানিয়েছি। আমরা চাই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এনে নিয়ম মেনে সুষ্ঠুভাবে কাজ করা হোক। আমাদের অভিযোগ তদন্ত করে দেখার অনুরোধ। “গোটা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছেন স্থানীয় বিডিও রমল সিং বিরদী।বিডিও জানিয়েছেন ঠিকাদারদের অভিযোগটা পেয়েছি। বিষয়টি ব্লক প্রশাসন তদন্তে নেমেছে। যদিও প্রধান লিপিকা মন্ডল জানিয়েছেন, “গোটা অভিযোগটাই দুরভিসন্ধি মূলক। গোটা টেন্ডারটি ঘটেছে সম্পূর্ণ আইন মাফিকভাবে। তদন্ত করলে প্রমাণ হয়ে যাবে। আমরা সবাইকে ফোন দিয়েছি। সকলকেই জানানো হয়েছে। অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct