আপনজন ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা দখলের লক্ষ্যে আদাজল খেয়ে লাগলেও উপনির্বাচনে ব্যর্থ হল ঘাসফুল। চারটি বিধানসভার উপনির্বাচনে তিনটি বিজেপি ও একটিতে কংগ্রেস জয়লাভ করেছে। আর সব কটিতে তৃণমূলের স্থান চতুর্থ। তবে, খংগ্রেস আগরতলা আসনটি বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে আক্রমণের মুখে পড়ে কংগ্রেস। কংগ্রেসের সদর কার্যালয়ে লাঠি, বাঁশ নিয়ে হামলা করে বিজেপি। ইটের ঘায়ে রক্তাক্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা। খাস রাজধানীতেই জয় পেয়েছেন কংগ্রেসের প্রার্থী সুদীপ রায়বর্মন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীকে ৩ হাজার ১৬৩ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন সুদীপ। তাঁর এই জয়কে আগরতলার মানুষের জন্যই উৎসর্গ করেছেন তিনি। আগরতলা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ২.১ শতাংশ। চতুর্থ স্থান। অন্যদিকে, টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। সহজ জয় পেয়েছেন মানিকও। ৬ হাজার ১০৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি।
কিন্তু কংগ্রেস আগরতলা জেতায় বিজেপির ক্রোধের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাদের মোকাবিলায় জড়ো হয়ে যান কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরাও। দু’পক্ষের মধ্যে ইট, পাথর ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ততক্ষণে এলাকায় পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয় বিশাল পুলিশবাহিনী। নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতে না পেরেই বিজেপি তাদের কার্যালয়ে হামলা চলিয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা কর্তৃপক্ষকে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এই ঘটনায় বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার ক্ষমা চাওয়া উচিত। তবে কংগ্রেস অধীর রঞ্জন চৌধুরী, গৌরব গগৈ এবং নাসির হুসেনকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার ত্রিপুরায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দলের কাছে রিপোর্ট দেবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct