আপনজন ডেস্ক: ভারতের সফল কোচদের একজন রবি শাস্ত্রী। কিন্তু পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফের কাছে শাস্ত্রী কোনো কোচের মধ্যে পড়েন না। রশিদের চোখে শাস্ত্রী শুধুই একজন ভালো ধারাভাষ্যকার! আর অনিল কুম্বলেকে সরিয়ে শাস্ত্রীকে ভারতের কোচ না করলে বিরাট কোহলির আজ এমন অবস্থা হতো না বলেই মনে করেন লতিফ। ২০১৭ সালে কুম্বলেকে বিতর্কিতভাবে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল ভারত। এরপর শাস্ত্রী ভারতের কোচের দায়িত্ব নেন। তাঁর অধীনে ভারত দল অসাধারণ অনেক সাফল্যই পেয়েছে। কোচ শাস্ত্রী, অধিনায়ক কোহলি—এই জুটিতেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দুটি টেস্ট সিরিজ জিতেছে ভারত। আইসিসির শিরোপা না জিতলেও ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল ও ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে ভারত।
তবে এই পরিসংখ্যানও লতিফকে সন্তুষ্ট করতে পারছে না। এখনো তিনি মনে করেন, কুম্বলেকে সরিয়ে শাস্ত্রীকে কোচ করে ভুল করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। কোহলির বর্তমান অবস্থার জন্যও শাস্ত্রীকেই দায়ী করেন লতিফ, ‘এটা (কোহলির অবস্থা) তার কারণেই।’ শাস্ত্রীকে কোচ হিসেবে কেন পছন্দ নয়, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান লতিফ, ‘আপনারা কুম্বলের মতো একজনকে পাশে সরিয়ে দিলেন এবং রবি শাস্ত্রীকে নিয়ে এলেন। জানি না, তার সেই যোগ্যতা ছিল কি না। তবে সে একজন ধারাভাষ্যকার। তার তো কোচিংয়ে আসারই কথা নয়!’ শাস্ত্রীকে কোচ বানানোর সিদ্ধান্তটা ভারতের জন্য বুমেরাং হয়ে এসেছে বলেই মনে হচ্ছে লতিফের, ‘শাস্ত্রীকে কোচ বানানোর পেছনে বিরাট কোহলিসহ অনেকেরই ভূমিকা আছে বলে মনে করি আমি। তবে সেটা বুমেরাং হয়ে এসেছে। তা–ই নয় কি? শাস্ত্রী যদি কোচ না হতো, কোহলি এভাবে ফর্মহীন হতো না।’ কোহলির ফর্মহীন হওয়ার সঙ্গে শাস্ত্রীর কোচ হওয়ার কী সম্পর্ক, তা অবশ্য ব্যাখ্যা করেননি রশিদ লতিফ। শাস্ত্রীর অধীনে শুরুতে ব্যাট হাতে ভালোই তো সময় গেছে কোহলির! তাঁর শতকের খরা শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের শেষ দিক থেকে, আর রানখরায় ভুগছেন সর্বশেষ কয়েক মাস।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct