মোসাররাফ হোসেন, মুরারই, আপনজন: পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনস্থ হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় বীরভূম জেলার প্রথম স্থানাধিকারী কলহ পুর হাই মাদ্রাসার ছাত্রী মাহমুদা খাতুন ! তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৮০০ এর মধ্যে ৭৪৩, কামালপুর গ্রামের পরিযায়ী শ্রমিকের মেয়ে এই মাহমুদা খাতুনের চোখে-মুখে স্বপ্নের জাল বুনেছে চিকিৎসক হওয়ার কিন্তু অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা । তবে কতটা মেধা ও মনের জোর থাকলে অর্থনৈতিক সহ বিভিন্ন রকম প্রতিবন্ধকতার সাথে মোকাবিলা করে এমন ভালো রেজাল্ট করা যায় ,তা দেখিয়ে দিয়েছে বীরভূমের কলহপুর হাই মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্রী মাহমুদা খাতুন। ওরা তিন বোন। মাহমুদা বাবা-মার দ্বিতীয়া কন্যা। সূত্রের খবর মাহমুদা খাতুন বর্তমানে পাণ্ডুয়া আল আমিন মিশনে সায়েন্স বিভাগে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে ,ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। পরিবারের অন্যান্য লোকেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় পরিবারটির অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ছিল এক সময় ছিল , কিন্তু কালের পরিহাসে চাকরি বাকরি না হওয়াই এবং উত্তরাধিকার সূত্রে জমি - জমার বিভাজন হওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারটি বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক দুর্দশার সম্মুখীন হয়েছে ! ফলে এখন এই পরিবারের সদস্যদের মানসিক যন্ত্রনা খুব বেশি। মেয়েটির বাবা আগে কাশ্মীরে শ্রমিকের কাজ করতেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় মাহমুদার বাবা বর্তমানে মানসিক ভারসাম্যহীন। যে বাড়িটাতে ওরা বাস করে সেটার অবস্থা এতটাই করুণ যে যেকোনো সময় ভেঙে পরতে পারে । মেরামত করার মতো টাকা নেই। পরিবারটি এমন অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্যে থেকেও তিন মেয়েকে পড়াশোনায় উৎসাহ জুগিয়ে যাচ্ছে।মাহমুদা খাতুনের মা বলেন ‘জানি না কতদিন এভাবে চালাতে পারবো’। এবং একথাও অকপটে স্বীকার করলেন যে গ্রামের অনেক মানুষের সাহায্য তিনি পেয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct