আপনজন: এ বছরও মামূন ন্যাশনাল স্কুল বালক ও বালিকা শাখায় তাদের মাধ্যমিক পরীক্ষার সাফল্য সমানভাবে অব্যাহত রেখেছে। দুই শাখায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৭৫ জন (বালক-৪০,বালিকা ৩৫)। তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ৩৩ জন। ৮০ শতাংশ বা তার বেশি নাম্বার পেয়েছে ৬৩ জন। বালকদের মধ্যে সর্বোচ্চ পেয়েছে মালদহ জেলার সহিদুল ইসলাম। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬৭১ (বাংলা-৯৬, ইংরাজি-৯৪, অংক-৯৮, ভৌতবিজ্ঞান-৯৬, জীবনবিজ্ঞান-৯৬, ইতিহাস-৯৩, ভূগোল-৯৮)। বালক শাখায় ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ১৮জন। এদের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে যথাক্রমে আশেক বিল্লা মোল্লা ৬৬৫ ও মহম্মদ মিরাজুল ইসলাম ৬৫৯। একজন উত্তর ২৪ পরগনার এবং দ্বিতীয়জন পূর্ব বর্ধমানের। অন্যদিকে যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে শারমিন চৌধুরী ও ওয়াসিফা খাতুন। শারমিনের বাড়ি গলসি তার আব্বা একজন কৃষক এবং সে এই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি থেকে পড়ছে। ওয়াসিফার বাড়ি পূর্বস্থলী। তার আব্বা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ছিলেন। সে সপ্তম শ্রেণি থেকে এই বিদ্যালয়ে পড়ছে। এদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৬১ । শারমিনের বিষয়ভিত্তিক নম্বর বাংলা-৯৫, ইংরাজি-৯০, অংক-৯৬, ভৌতবিজ্ঞান-৯৭, জীবন বিজ্ঞান-৯৫, ইতিহাস-৯০, ভূগোল-৯৮ এবং ওয়াসিফার প্রাপ্ত নম্বর বাংলা-৯৬, ইংরাজি-৯০, অঙ্ক-৯৬, ভৌতবিজ্ঞান-৯৮, জীবনবিজ্ঞান-৯১, ইতিহাস-৯২, ভূগোল-৯৮। ছাত্রীদের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ১৫ জন। বালিকাদের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে যথাক্রমে সাইরিন সুলতানা ও নাজমুন্নেহা সুলতানা। এদের মোট প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে ৬৫৭ এবং ৬৫৬। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, এই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রায় সকলেই মামূন ন্যাশনাল স্কুলে বিভিন্ন শাখায় বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করছে। আল কুরআনের হাফেজ ছাত্রদের জন্য সরাসরি নবম শ্রেণিতে ভর্তির একটা ব্যবস্থা মেমারি ক্যাম্পাসে আছে। যাতে কুরআন মুখস্থ করার পর ছাত্ররা মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের জগতে প্রবেশ করতে পারে। এই ছাত্ররা যেহেতু আরবি ভাষার সঙ্গে পরিচিত তাই তারা পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা বোর্ড থেকে পরীক্ষা দেয় এবছর মাদ্রাসা বোর্ডে এখানকার ছাত্র হাবিবুর রহমান গাজী পেয়েছে ৭৩৭ (৯২.১৩%)।
অন্যান্য হাফেজ ছাত্ররা সকলেই ৮০% বা তার বেশি পেয়ে নম্বর পেয়ে সাফল্য লাভ করেছে এবং অনেকেই এই স্কুলে বিজ্ঞান নিয়ে একাদশে পড়ছে। ছাত্র এবং শিক্ষকমন্ডলীকে বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তাক হোসেন। তিনি তাঁর অকাতর দান এবং অর্থ সাহায্য করে চলেছেন বলে বহু গরীব ও দু:স্থ ছাত্রছাত্রীরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়ে চলেছে। এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা হলেন মরহুম গোলাম আহমাদ মোর্তজা। যাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম আর আন্তরিক দোয়া ছিল এই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক-শিক্ষিকা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct