এম কে হিমু, মেমারি, আপনজন: দুয়ারে সরকার এখন আর শুধুমাত্র দুয়ারেই সীমাবদ্ধ নেই। এখন সরকার একেবারে বাড়ির উঠানে পৌছে গেছে। দুয়ারের সরকারের চতুর্থ পর্যায়ের আজই ছিল শেষ দিন। এমন কিছু মানুষজন এখনো আছেন যারা বিভিন্ন কারণে দুয়ারে পৌঁছেতে পারেনি , সেই সমস্ত মানুষের কাছেই সরকার পৌছে গেল ভ্রাম্যমান দুয়ারের সরকার নিয়ে। মেমারি-১ ব্লকের উদ্যোগে আজ একটি ভ্রাম্যমাণ দুয়ারে সরকারের গাড়ি প্রথমেই গেল কলনবগ্রামের একটি বৃদ্ধাশ্রমে। সেখানে দুইজন বৃদ্ধা এবং একজন বৃদ্ধ মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা নিয়ে সরাসরি হাজির হলেন বিডিও এবং তার সহকারিরা। কল্পনা ঘোষ, আভা চ্যাটার্জী, বিপ্লব কুমার দত্ত -দের কারোর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই, তো কেউ ভাতা পাননা বা কেউ ভোটার কার্ড নেই বা আধার নেই। সবার সাথে কথা বলে ব্লক প্রশাসন ব্যবস্থ গ্রহণের পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন। সবার হাতে নির্দিষ্ট ফর্ম দিয়ে তা পূরণ করে উপযুক্ত ব্যবস্থাগ্রহণ করার জন্য দলুইবাজার-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে নির্দেশ দেন। বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা এই সুযোগ পেয়ে খুবই খুশি। পাশেই আছে একটি আবাসিক হোম। সেখানেও প্রায় ১৯ জন মানুষ আছেন। ব্লক প্রশাসনের ভ্রাম্যমান দুয়ারে সরকার সেখানেও হাজির। তাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করল। এরপর ভ্রাম্যমান দুয়ারে সরকার যায় কলনবগ্রামের ভিতরে দুই প্রতিবন্ধী ভাই - সঞ্জিব ও মানিক মণ্ডলের বাড়িতে। জন্মগত দুই প্রতিবন্ধী ভাই কি কি সুবিধা পাচ্ছে, কি কি সমস্যা সব খোঁজখবর নেন স্বয়ং বিডিও। এরা আগের দুয়ারে স্বাস্থ্যসাথীর জন্য আবেদন করেছিলো, সেটা পেয়ে গেছে। ওদের বৃদ্ধ মা ভাতা পাচ্ছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct