আপনজন ডেস্ক: তুরস্কের বিখ্যাত ইস্তান্বুল নগরীর ৫৬৯তম বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ইস্তাম্বুলের বিশ্বখ্যাত আয়া সোফিয়া গ্র্যান্ড মসজিদে দূর-দূরান্ত থেকে ফজর নামাজ পড়তে আসেন মুসল্লিরা। গতকাল রবিবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে কনস্টান্টিনোপল বিজয় দিবস উদযাপিত হয়। ১৪৫৩ সালে উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ আল ফাতিহ শহরটি জয় করে ইসলামের ইতিহাসে অনন্য মর্যাদায় আসীন হন।
তুরস্কের প্রেসেডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান এক টুইট বার্তায় সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘তুরস্কের ইতিহাসে ইস্তানবুল বিজয় সবচয়ে বড় ঘটনা। ’ এছাড়াও মহানবী (সা.)-এর সুসংবাদপ্রাপ্ত সেনাপতি সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ ও তাঁর সেনাবাহিনীর অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে তুলে ধরেন। মূলত ইস্তাম্বুল একটি কসমোপলিটন তথা বহুজাতিক শহর। তাই ১৪৫৩ সালে দ্বিতীয় মুহাম্মদ আল ফাতিহের আগেও অন্তত ২৮ বার শহরটি অবরোধ করা হয়। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৪৫৩ সালের ৬ এপ্রিল থেকে ২৯ মে পর্যন্ত অবরোধের সম্মুখীন হয়। এরপর চূড়ান্তভাবে শহরটি উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধিকারে আসে। তারও পুর্বে মহান সেলজুক সুলতান আলপ আরসালানও শহরটি জয় করলেও তা ধরে রাখতে পারেননি। বর্তমান তুরস্কের ইস্তানবুল নগরী একটি প্রাচীন শহর। তা কনস্টান্টিনোপলের অধীনে ছিল। আরবিতে কনস্টান্টিনোপল শব্দটি কুস্তুনতুনিয়া বলা হয়। মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এ অঞ্চল বিজয়ে ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন। তাই এটি বিজয়ের জন্য মুসলিমরা অত্যন্ত আগ্রহী ও উৎসাহী ছিলেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা কনস্টান্টিনোপল বিজয় করবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct