ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট
শংকর সাহা
_________________
সেদিন অফিস থেকে ফেরার সময় মাথাটি বড্ড ধরেছিল। ভীষণ কাজের চাপ আষাঢ়ের বিকেলেই আকাশের কালো গুমোট ভাবটি দেখে যেন মনে হচ্ছে এ যেন দিন থাকতেই রাতের অন্ধকার।। ব্যাগে মায়ের প্রেশারের ওষুধ, তাই বাড়িতে ফেরার ভীষণ তাড়া ছিল। গাড়ি থামতেই বৃষ্টির বেগ আরও বেড়ে যায়। আজ যেন হাতের ছাতাটিও সঙগ দেয়না। ফিরতি বাসে ভীষণ ভীড়। কোনো মতে গাড়িতে চেপে একটু জায়গাতে শরীরের ন্যূনতম অংশটুকুকে স্থান দিয়েছি হঠাত লাল শাড়ি পরিহিতা একজন মহিলা এসে দাঁড়ালেন আমার পাশে।দেখে কিছুটি বিদ্ধস্ত মনে হল! কিছু না ভেবে আমি জায়গাটি ছেড়ে দিলাম। গাড়ি থেকে নেমে আমি অটোর জন্যে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি হঠাত দেখি পাশে কে যেন দাঁড়িয়ে। “ ধন্যবাদ আপনাকে। তখন সিটটি ছেড়ে দেবার জন্যে। “মৃদু হেসে আমি বললাম ঠিক আছে। লাইট পোস্টের আলোয় ওনার মুখটি একটু উজ্জ্বল দেখালো। ফর্সা, ঠোঁটের পেছনে তিলটি বেশ মানিয়ে তুলেছে ওনাকে। কথা না বাড়িয়ে ওনি হেসে বললেন, “ আপনি কোথায় যাবেন? ওনার আর আমার বাড়ি ফেরার রাস্তাটি এক ছিল।. আমরা সেদিন এক অটোতে চাপলাম দুজনে। দীর্ঘপথ নানা বাক্যালাপেই কেটে গেল। হাল্কা বাতাসে মাঝে মাঝে ওনার শাড়ির আঁচলটি আমার মুখে এসে পড়লে ওনি অপ্রস্তুত বোধ করেন। হঠাত গন্তব্যস্থলটি এসে পড়ে!
“ আবার কোনো একদিন দেখা হবে”- বলে উনি বাড়িতে চলে গেলেন। আমিও আমার বাড়ির পথে.।বৃষ্টির বেগ একটু কমেছে। ঘড়িতে রাত তখন রাত আটটা। ফিরতে কিছুটা দেরি হয়ে গেছে সেদিন। ফ্রেশ হয়ে কফির গ্লাসটি হাতে নিয়ে মোবাইলে লগ ইন করতেই দেখি একটি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। নাম কুহেলিকা ব্যানার্জী। বয়স ছাব্বিশ। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। আমি উৎসাহ সহকারে দেখতে থাকি। তাহার টাইম লাইনে করা একটি পোস্ট
...” এ পথ যদি না শেষ হয়! ....” পোস্টটি ত্রিশ মিনিট আগে করা। কিছু না ভেবেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আ্যাকসেপ্ট করে নিলাম...
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct