নাজিম আক্তার,হরিশ্চন্দ্রপুর,আপনজন: বাংলার পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিহারের পুলিশ পরিচয় দিয়ে একদল লোক মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর বিহার সীমান্তবর্তী সাদলিচক গ্রাম-পঞ্চায়েতের সহরাবহরা এলাকায় ঢুকে রাস্তার ধারে বসবাস করা অসহায় দিনমজুরের কুড়িটি পরিবারের বাড়িঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বলে খবর।এমনকি পরিবারের লোকেদের মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে ওই পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে।এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লকের সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইন্দ্রজিৎ সরকার পরোক্ষভাবে এই কাজে তৃণমূল কর্মী গণেশ পরামানিক কে সাহায্য করেছেন। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন প্রধান ইন্দ্রজিৎ সরকার
এলাকার এক তৃণমূল নেতা এবং ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ,রাস্তার ধারে জমির পজিশন ফাঁকা করতেই নাকি বিহারের পুলিশদের আমদানি করে ভাঙচুর চালিয়ে আবার বিহারে ফিরে যায় পুলিশের দল। ঘটনার জেরে এদিন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। জানা যায়,রাস্তার ধারে সমস্ত জমি তৃণমূল নেতাদের দখলে রয়েছে,কিন্তু সেই জমির সামনে প্রায় ৭০ বছর ধরে এই পরিবার গুলি বসবাস করছিল। তাদের সরাতে এই পরিকল্পনা বলে জানা গেছে। গোটা ঘটনার অভিযোগ জানানো হয়েছে স্থানীয় কুমেদপুর ফাঁড়ি এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানাতে। সমস্ত ঘটনার তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার সহরাবহরা মৌজা সাদলীচক গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রাজ্য সড়কের ধারে প্রায় কুড়িটি পরিবার ৭০ বছর ধরে বসবাস করে আসছে।এদের নিজস্ব কোন জমি নেই।তাই বাধ্য হয়ে সরকারি জমিতে রাস্তার ধারে কুড়ে ঘর বানিয়ে জীবন যাপন করছিল।কিন্তু তাদের বাড়ি গুলির পিছনে থাকা এলাকার তৃণমূল নেতা গণেশ প্রামানিক মাঝে মাঝেই হুমকি দিত এদেরকে উঠে যাওয়ার জন্য।এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ঝামেলা লেগে রয়েছে।গণেশের বিহারে যাওয়া আসা ছিল।সেই সূত্রেই বেশ কিছু পুলিশকর্মীর সঙ্গে তার আলাপ হয়।তাদেরকেই কাজে লাগিয়ে শুক্রবার গভীর রাতে ওই দরিদ্র পরিবার গুলির উপর আক্রমণ চালায়। জেসিবি লাগিয়ে ভেঙে ফেলা হয় কুঁড়েঘর গুলি। সাদলিচক গ্রাম-পঞ্চায়েতের প্রধান ইন্দ্রজিৎ সরকারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ওটা বিহার পুলিশের ব্যাপার। তার কিছু করার নেই। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct