আপনজন ডেস্ক: মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন আয়োজিত মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর প্রয়াস বাতিল করে দিল পুলিশ। কলকাতায় ধর্মতলা প্রেসক্লাবের সামনে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা জমায়েত হয়ে সমাবেশ করার প্রচেষ্টা নিয়ে পুলিশ তাদেরকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এর ফলে তাদের অনশন করার পরিকল্পনাও ভণ্ডুল হয়ে যায়। আন্দোলনরত এমএসসি উত্তীর্ণদের অভিযোগ, বস্তুত মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন মাদ্রাসায় শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ করবে বলে ২০১৩ সালে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের ২০১৩ সালের বিজ্ঞপ্তির সময় ভ্যাকান্সি ছিল ৩১৮৩। ২০১৬ তে লিখিত পরীক্ষা হয়, ২০১৭ এর শেষ দিকে ইন্টারভিউ হয়। কিন্তু ২০১৮তে নিয়োগ এবার সময় শূন্যপদ তো আপডেট হয়নি, বরঞ্চ কমিশন ২০১৩ সালের শূন্যপদ কে কমিয়ে ২০০০ এর কাছাকাছি রেকোমেন্ডেশন দেয় বলে তাার অভিযোগ জানান। মাদ্রাসা গুলোতে নিয়োগ হয় ১৫০০ এর কাছাকাছি। এমএসসি উত্তীর্ণদের দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশন যেখানে ২০১৭ সালের আপডেট ভ্যাকান্সিতে নিয়োগ করেছিল সেখানে মাদ্রাসা গুলোতে ২০১৩ সালের ভ্যাকান্সি পূর্ণ করেনি।
এ নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ালেন আইএসএফ বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে প্রয়োজনীয় শিক্ষকের অভাব প্রকট। পঠনপাঠনও অনেক জায়গায় বন্ধের মুখে। এরমধ্যেই উত্তীর্ণ চাকুরিপ্রার্থীদের একটা অংশ ২০১৪ থেকে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের হঠকারী সিদ্ধান্তে বেকার হয়ে বসে আছেন। ২০১৪তে পরীক্ষায় তাঁরা উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। কিন্তু আসন কমিয়ে দেওয়াতে আজ এই পরিস্থিতি উদ্ভব হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষার অব্যবস্থাহেতু সংখ্যালঘু পরিবারের বহু ছাত্রছাত্রী শিক্ষার আলো থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আইএসএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা মাদ্রাসা শিক্ষকদের এই ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের পাশে আছে। সেই সঙ্গে আন্দোলনরত এমএসসি উত্তীর্ণদের পুলিশি আটকের তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct