অনেক গুণী ব্যক্তি আছেন, অনেক শিল্পী, অভিনয় জগতের গুণী ব্যক্তি,এরকম অনেক পেশার অনেক গুণী ব্যক্তি আছেন যাদের সুখ্যাতি রয়েছে। আমরা তার বেঁচে থাকতে সম্মান জানাই না, বা প্রশংসা করি না। যখন সেই গুণী ব্যক্তি আমাদের কাছ থেকে চিরবিদায় নেয়, তখনই যেন আমরা তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠি। তখনি যেন তার সারা জীবনের কথা বলতে আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ি। এ নিয়ে লিখেছেন নিপু বিশ্বাস গোলদার।
উৎসাহিত,প্রশংসা কিংবা গুণগান,যাই বলি না কেনো,মানে সেই একই এসে দাঁড়ায় সাধারণত।আমি আসলে আজ- একদম অন্য বিষয় নিয়ে ,আলোকপাত করতে চাইছি। যে বিষয়গুলো সাধারণত কেউ ভাবে না। এত কথা না বাড়িয়ে বরং বলেই ফেলি, অনেক সম্মানীয় ব্যক্তি আছেন, অনেক গুনী ব্যক্তি আছেন, অনেক শিল্পী, অভিনয় জগতের গুণী ব্যক্তি,এরকম অনেক পেশার অনেক গুণী ব্যক্তি আছেন যাদের সুখ্যাতি রয়েছে। আমরা তার বেঁচে থাকতে সম্মান জানাই না, বা প্রশংসা করি না। যখন সেই গুণী ব্যক্তি আমাদের কাছ থেকে চিরবিদায় নেয়, তখনই যেন আমরা তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠি। তখনি যেন তার সারা জীবনের কথা বলতে আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আমরা শুধু অন্যের সমালোচনা ,তার উপস্থিতিতে তার সম্পর্কে, খারাপ খারাপ কথা বলে বলতে পারি। অথচ তার সম্পর্কে ভালো কথা বলার জন্য, মানুষটা চলে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, পৃথিবী ছেড়ে।আমরা বড়ো বৈচিত্র্যময় মানুষ। গুণী মানুষদের ভালো ভালো কথা আমরা, সাধারণভাবে নিতে পারি না । কিংবা বিশ্বাস করিনা ,আবার এই সম্মানীয় ব্যক্তিদের কথা যখন , তাদের সম্পর্কে খারাপ কথা কিনবা ঘটনা ,প্রচার হয় ।তখন সহজেই সেটা আমরা বিশ্বাস করে নিই।এই জন্যই হয়তো আমরা ,বিশেষ কোনো গুনি মানুষ হয়ে উঠতে পারি না।সাধারণ মানুষ হয়েই বেঁচে থাকি। এখানেই আমার বক্তব্য, আসলে আমি বলতে চাইছি, আমরা কেনো সেই সমস্থ গুনি,সম্মানীও ব্যাক্তি দের জীবিত অবস্থাই , তার সারা জীবনের ভালো কাজের কথা কেনো আমরা বলি না? আমাদের তো উচিত ,গুনি ব্যাক্তি দের সন্মান জানানো তাদের উপস্তিথিতেই হয়।তাহলে অন্তত তাদের পরিশ্ৰম সার্থক হয়ে ওঠে। জের কানে নিজের গুণ গান শুনতে কে নাই ভালো বাসে বলুন তো? তাহলে জার গুন আছে তার গুনের কদর বেঁচে থাকতে তিনি ও শুনবেন না কেনো?
আমি একদম সহজ ভাবে বলতে চাইছি ,সেই সমস্থ ব্যক্তিদের ,যারা গুণী ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা বা খবর তৈরি করেন। তাদের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ, গুণী সম্মানীয় ব্যক্তিদের জীবিত অবস্থাতেও তাদের গুণের কথা, তাদের কাজের কথা,তাদের সার্থকতার কথা তুলে ধরুন। কারণ যাতে আমাদের সঙ্গে সঙ্গে সেই সম্মানীও ব্যক্তি যেন নিজের কানে, তার গুনের কথা শুনে যেতে পারেন। এটাই ছিলো আমাদের মূল উদ্দেশ্য তাকা উচিত।পরিশেষে একটাই আবেদন, আমার সবার কাছে, গুণী, সম্মানীয় ব্যক্তিদের সন্মান জানাব। তাদের প্রশংসা করবো, তাদের উপস্থিতিতেই। তাহলে, গুণী ব্যক্তিদের পরিশ্রম সার্থকতা লাভ করবে । আর আমরাও সার্থক হতে পারি, তাদেরকে সম্মান জানাতে পেরে। যার সম্পর্কে কথা বলবো, সেই মানুষটাই যদি না থাকে, তা হলে সেই কথাই মূল্যহীন হয়ে যাই। যাই হোক, আমরা সবাই সম্মানীয় ব্যক্তিদেরকে সম্মান জানাবো তাদের উপস্থিতিতেই এই অঙ্গীকার করব আমরা সবাই. এএ মানসিকতা তৈরি হোক। তবেই সমাজে গুণী মানুষদের সার্থকতা বেঁেচে থাকবে, নচেৎ নয়।
(লেখক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক)
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct