সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে,ভাঙড়,আপনজন: বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড় ও ক্যানিংয়ে পবিত্র ঈদ উল ফিতর উৎযাপন করলেন ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইয়েরা। এক মাসের দীর্ঘ রোজার পর মঙ্গলবার ভাঙড় ও ক্যানিং বিধানসভা এলাকায় মানুষ ঈদ আনন্দে মেতে ওঠেন। দুই বিধানসভা এলাকার শকুনপুকুর, কারবালা, চন্দনেশ্বর, গাজীপুর প্রভৃতি গ্রামে ঈদের বৃহৎ জমাত অনুষ্ঠিত হয়। এদিন শুধু ভাঙড় বা ক্যানিং নয় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মধ্যে অন্যতম বৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের ভগবানপুর অঞ্চলের শকুনপুকুর ঈদগাহে। এখানে শকুনপুকুর, ছয়ানি, সাতুলিয়া, জিরানগাছা, কৃষ্ণমাটি, গুছড়িয়া, ভগবানপুর, তাড়াহেদিয়া প্রভৃতি গ্রামের প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন। ঈদের নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা মহিউদ্দিন মোল্লা।
ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকে আরও একটি বৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয় শানপুকুর অঞ্চলের শোনপুরের কারবালা ঈদগাহে। এখানে ঈদের নামাজে ইমামতি করেন ফুরফুরা শরীফের আমজাদ হোসেন বোখারী। শোনপুর, ভোগালি, নাংলা, আলাকুলিয়া, ছেলেগোয়ালিয়া, কাঠজ্বালা, মানিকতলা, কাশিপুর, চিনিপুকুর, ধেয়াতি, নিমকুড়িয়া, মেটোআইট প্রভৃতি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকার বৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের চন্দনেশ্বর ১ নম্বর অঞ্চলের দিঘীর পাড়ে। সেখানে আনুমানিক ১৫ হাজার মানুষ ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন। নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা সফিকুল তরফদার। এখানে সোন্দালিয়া, কাশিনাথপুর, মথুরাপুর, বনগ্রাম, কচুয়া, বাকরি প্রভৃতি গ্রামের মানুষ নামাজ আদায় করেন। এখানেই ঈদের নামাজ পড়েন ক্যানিং পূর্বর বিধায়ক তথা রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সওকাত মোল্লা। ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের পোলেরহাট ২ নম্বর অঞ্চলের নিজের গ্রাম গাজিপুরের জমাদারপুকুর ঈদগাহে ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম ও তাঁর পুত্র উপপ্রধান হাকিমুল ইসলাম ঈদের নামাজ পড়েন। এখানে ঈদের নামাজে ইমামতি করেন ফুরফুরা শরীফের হোসেন সিদ্দিকী। গাজিপুর ও পাশ্ববর্তী গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ এখানে নামাজ আদায় করেন। এদিন ঈদের নামাজ চলাকালীন ভাঙড় ও ক্যানিং বিধানসভা এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে নিষ্ঠার সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct