নাজিম আক্তার,হরিশ্চন্দ্রপুর,আপনজন: প্রাইমারি শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নাম করে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার দুই বেকার যুবকের কাছ থেকে সাত লক্ষাধিক টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এলাকারই এক তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন জেলা সাধারণ সম্পাদক তৈমুর রহমান ও দুই মহিলা তৃনমূল কর্মী নিভা মহরি এবং উৎপলা পাশওয়ানের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,তৈমুর রহমান শাসক দলের প্রভাবশালী নেতা।তার বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ডুমুরিয়া এলাকায়।অভিযোগ,এলাকারই কৃষ্ণ মহালদার এবং বিষ্ণু মহালদার নামে দুই ভাইয়ের কাছ থেকে প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় সাত লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।এই কাজে তার মদদ যুগিয়েছিলেন পাড়ার ওই দুই মহিলা তৃণমূল কর্মী।কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে যাওয়াতে চাকরি না মেলায় টাকা ফেরত চাইতে গেলে জুটছে প্রাণ-নাশের হুমকি।
আরও জানা গেছে, ওই দুই ভাই জেলা এবং রাজ্য স্তরের প্রসিদ্ধ দৌড়বিদ। বাবা মারা গেছে বহুদিন আগে। পরিবারের শেষ সম্বল ছিল একটি ছোট পুকুর।সেই পুকুর বিক্রি করে দুই ভাই চাকরির আশায় এলাকার ওই দুই মহিলার মাধ্যমে তৈমুর রহমানকে দফায় দফায় প্রায় সাত লাখ টাকা দিয়েছিলেন।খেলা-ধুলায় সুনাম অর্জন করলেও বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিশ্রুতি মিলেছিল চাকরির। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ না হয়ে বাধ্য হয়ে তারা এই নেতার খপ্পরে পড়েন বলে অভিযোগ। ওই দুই যুবকের দাদা রাম মহলদার জানান, পরিবারের শেষ সম্বল ছিল একটি পুকুর। দুই ভাইয়ের চাকরির আশায় ওই দুই মহিলার মাধ্যমে তৃণমূল নেতা তৈমুর রহমানকে প্রায় সাত লাখ টাকা দিয়েছি। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বছর খানেকের মধ্যে মিলবে শিক্ষকতার চাকরি। কিন্তু বছর কেটে গেলেও চাকরি মেলেনি। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তৈমুর রহমান সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘সামনে ভোট। আমার ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার জন্য এ ধরনের চক্রান্ত করছে। আমি ওই দুই ভাইকে চিনি না,আর ওদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct