আপনজন ডেস্ক: যুবভারতীতে ক্রীড়াঙ্গনে এএফসি কাপে বাংলাদেশের আবাহনী ক্লাবকে ৩–১ গোলে হারিয়ে দিল এটিকে মোহনবাগান। সবুজ–মেরুনের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন ডেভিড উইলিয়ামস। আবাহনীর একমাত্র গোলটি দানিয়েল কলিনদ্রেসের। এ জয়ের সুবাদে গ্রুপ পর্বে জায়গা করে নিল মোহনবাগান। চোটের কারণে আবাহনীর কোচ মারিও লেমোস আজ মাঠে নামাতে পারেননি দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র দরিয়েলতন গোমেজকে। তবে ভরসা করেছিলেন দানিয়েল কলিনদ্রেস ও নেদো তুর্কোভিচের ওপর। কিন্তু এ দুজনকেও বেশির ভাগ সময় বোতলবন্দী করে রাখলেন মোহনবাগানের ডিফেন্ডাররা। হতাশ করেছেন আইএসএলে পাঁচ মৌসুম খেলা ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফায়েল আগুস্তোও। প্রায় সাত বছর আগে চেন্নাইয়িন ফুটবল ক্লাবের হয়ে কলকাতার এই স্টেডিয়ামে গোল করেছিলেন আগুস্তো। কিন্তু আগুস্তো সেই সুখস্মৃতি আবারও ফিরিয়ে আনতে পারলেন কোথায়? মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফার্নান্দোর ভয়ঙ্কর তিন অস্ত্র—হুগো বোমাস, লিস্টন কোলাসো ও ডেভিড উইলিয়ামস। যদিও কোলাসো, বোমাসের চেয়ে আবাহনীর রক্ষণে সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক ছড়িয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ড উইলিয়ামস। ২৮ মিনিটের মধ্যে দুটি গোল করে ম্যাচটি এক অর্থে কোমায় পাঠিয়ে দেন এ অস্ট্রেলিয়ান। দুটি গোলই হয়েছে প্রায় একইভাবে। এরপর ৩৫ মিনিটে হ্যাটট্রিক হয়ে যেতে পারত উইলিয়ামসের। কিন্তু আবাহনী গোলররক্ষক শহীদুল আলমের দারুণ দক্ষতায় সে যাত্রায় হ্যাটট্রিকটা পাননি তিনি।
উইলিয়ামস যেন বাংলাদেশের ক্লাবের জন্য আতঙ্কের এক নাম। গত বছর বসুন্ধরা কিংসের এএফসি কাপের আন্ত–আঞ্চলিক পর্বে খেলার স্বপ্নটা নষ্ট করে দিয়েছিলেন উইলিয়ামস। পরের পর্বে যেতে বসুন্ধরা কিংসের তখন প্রয়োজন ছিল জয়। গোল করে সেই কাজ এগিয়ে রেখেছিল বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু উইলিয়ামসের গোলে ১–১ ব্যবধানে ড্র করে পরের পর্বে ওঠে মোহনবাগান। এদিনও উইলিয়ামসের গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ম্যাচের ৬ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে জনি কাউকোর ক্রস, উইলিয়ামস শুধু পা ছুঁয়ে বলের গতি বদলে পাঠান জালে। এরপর ২৮ মিনিটে ২–০ করে মোহনবাগান। বাঁ প্রান্তে আক্রমণে ওঠে মোহনবাগান। এবার প্রবীর দাসের ক্রস, উইলিয়ামসের গোলে উল্লাসে মেতে ওঠে পুরো গ্যালারি। ৩৫ মিনিটে দারুণ আক্রমণ নষ্ট হয়েছে মোহনবাগানের। এবার অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছিলেন উইলিয়ামস। সামনে তখন আবাহনীর গোলরক্ষক শহীদুল আলম।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct